
যাত্রীসেবা ও লাগেজ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা জোরদার করতে সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে কর্মীদের জন্য ‘বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা’ চালু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। রোববার (২১ ডিসেম্বর) এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এর আগে ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে কেবল বিমানের নিজস্ব ফ্লাইটে যাত্রীদের লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের সময় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কর্মীরা এই ক্যামেরা ব্যবহার করতেন। এতে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাওয়ায় এবার বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা গ্রহণকারী সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রেও এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হলো।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিয়ে আসছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি।
বিমানের কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিরাপত্তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়ায় বিশ্বব্যাপী কঠোর নিরাপত্তা বিধি অনুসরণ করা হয়। সন্দেহজনক বা নিষিদ্ধ সামগ্রীর ঝুঁকি থাকলে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রয়োজনে যাত্রীদের লাগেজের তালা ভাঙা, চেইন কাটা বা কোনো অংশ খুলে তল্লাশি চালাতে পারে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে যাত্রী বা এয়ারলাইন্সের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয় না। তবে অনেক সময় বিদেশফেরত যাত্রীরা এসব ক্ষতির দায় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রতিষ্ঠান বা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওপর চাপান।
এ ছাড়া কিছু অসাধু চক্র এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের মালামাল সুরক্ষা নিশ্চিত করা, লাগেজ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং দায়ী ব্যক্তি বা স্টেশন শনাক্তের লক্ষ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের লাগেজ ওঠানামা কার্যক্রমে বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা ব্যবহার কার্যকর করা হয়েছে।
কর্মসূচির উদ্বোধনকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (গ্রাহকসেবা) বদরুল হাসান লিটন বলেন, যাত্রীদের সম্পত্তি সুরক্ষা ও সেবার মান নিশ্চিত করতে বিমান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে, যা যাত্রীদের আস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মীদের পেশাদারিত্ব আরও সুদৃঢ় করবে।
মন্তব্য করুন