রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

শিক্ষক ও কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন করতে ন্যাক্কারজনক অপবাদ প্রচার, ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি

মোঃ আসাদুল্লাহ সনি- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৮০ Time View

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ও কলেজের এক শিক্ষকের সুনাম ক্ষুন্ন করতে নানারকম মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ উঠেছে একটি কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে। কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের তথ্য প্রচারণা চালিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজ ও শিক্ষকের মানহানি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ ও আইডি থেকে নানারকম উদ্দেশ্যমূলক ও মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে পড়ুয়া ওই ছাত্রী তার নিজস্ব আইডি থেকে নিজের সাথে এক কলেজ শিক্ষকের সম্পর্ক থাকার কথা উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেয়। এমনকি এনিয়ে কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও পেইজ থেকে ওই ছাত্রী নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথাও প্রচার করে। কিন্তু তার কয়েকদিন পর কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর দেয়া অভিযোগ ও গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে কোন কথা বলেননি তিনি।

এবিষয়ে অনুসন্ধানে নানারকম ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। এমনকি ফেসবুকে কলেজ ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা প্রচার করলেও পরবর্তীতে তা অস্বীকার করেন তিনি। এমনকি অভিযোগপত্রে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখানোর কথা উল্লেখ করলেও বাস্তবের সাথে তার কোন মিল পাওয়া যায়নি। ওই কলেজছাত্রী ২০২২ সালে তাকে জোরপূর্বক অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার পর বিভিন্ন হুমকি দেয়ার কথা বললেও প্রতিবেদকের কাছে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বেশকিছু স্থিরচিত্র রয়েছে। সেখানে গ্রুপ ছবিতে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে হাসোজ্জল দেখা গেছে।

কলেজের একাধিক শিক্ষক ও ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা জানায়, শিক্ষক ও ওই ছাত্রীর সাথে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাভাবিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক ছিল। এমনকি কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদেরকে একসাথে স্বাচ্ছন্দময়ভাবে দেখা গেছে। তবে কলেজ ছাত্রীর সম্প্রতি দেয়া অভিযোগপত্রে সে নানারকম ভয়ভীতি ও ব্ল্যাকমেইলের যে অভিযোগ করেছেন, তাতে তাদের দুইজনের আচরণে কোনরকম ছাপ পাওয়া যায়নি।

নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া প্রসঙ্গে ওই কলেজ ছাত্রী জানান, আমি কখনও অন্তঃসত্ত্বা হয়নি। এনিয়ে কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও পেইজে বিভিন্ন তথ্য প্রচার হওয়ার স্কিনসট আমার কাছেও এসেছে। তবে এমন কোন তথ্য কাউকে দেয়নি বা বলিনি। এমনকি আমার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতেও তা দেয়নি। কে বা কারা এমন মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে গুজব প্রচার করেছে।

নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ওই শিক্ষকের দাবি, আমাকে হেনস্তা ও মানহানি করতেই একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অন্যান্য সকল ছাত্রীর মতোই তার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই গত কয়েকদিন থেকে আমাকে নিয়ে নানারকম মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রচার করতে থাকে। এমনকি কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও পেইজে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে তথ্য প্রচার করা হয়। কিন্তু সে কলেজে দেয়া অভিযোগে তা বলেনি।

কলেজ শিক্ষক আরও বলেন, শুরুতেই নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা প্রচার করলেও এখন তা অস্বীকার করছে ওই ছাত্রী। বাস্তবে আমাকে হেনস্তা ও কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন করতে এবং আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের সাফল্যে ইর্ষান্নিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল এসব ষড়যন্ত্র করছে। আর এতে ওই মেয়েকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কলেজ ছাত্রীর কয়েকজন সহপাঠী বলেন, এসব ঘটনার ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক। তাই ঘটনার শুরুতেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ দিয়ে তাকে ও আমাদের কলেজকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। কিন্তু তার কয়েকদিন পরেই নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ওই ছাত্রী। এ থেকেই ঘটনাটির একটি সুস্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়। এটি একটি মিথ্যা বানোয়াট ঘটনা।

নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শফিকুল ইসলাম (ছন্মনাম) নামের এক শিক্ষক জানান, একজন শিক্ষক ও ছাত্রীর সম্পর্কে এমন ন্যাক্কারজনক তথ্য প্রচারে আমরা বিব্রত। আমাদের কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন করতেই এমনটি করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। সেই সাথে অন্তঃসত্ত্বা না হয়েও এমন গর্হিত তথ্য প্রচার করার দায়ে শাস্তি দাবি করছি।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category