শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

সালাম না দেয়ায় সচিবকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

কাশিয়ানী প্রতিনিধি
  • Update Time : সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২
  • ১৯২ Time View

পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সালাম না দেয়ায় সচিব মনোজ দত্তকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শাওন রবিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে এ কান্ড ঘটান। আজ সোমবার (২৭ জুন) সচিব মনোজ দত্ত সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের মধ্যে অসন্তোস বিরাজ করছে। তারা এ ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবী করেন। পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মনোজ দত্ত বলেন, আমি পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি অতিরিক্ত মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালন করছি।

রবিবার দুপুরে পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে মহিলাদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শাওন আসেন। এসেই তিনি আমার রুমে প্রবেশ করেন। এসময় আমার রুমে থাকা সকলে চেয়ারম্যানকে সালাম দেন।

কিন্তু আমি ফোনে ট্যাগ অফিসারের সাথে কথা বলায় চেয়ারম্যানকে দেখতে পাইনি। কিন্তু চেয়ারম্যান তাকে সালাম কেন দেই নি এ কারনে আমাকে গালিগালাজ করে মারতে আসেন এবং আমাকে লাঞ্ছিত করেন। তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে আমি কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারকে জানিয়েছি।

তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য আহম্মেদ মোল্যা ও ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো: নজরুল ইসলাম বলেন, পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শাওন পরিষদে এসেই সচিব মহোদয়ের রুমে আসেন। এসময় আমরা তাকে সালাম দেই।

কিন্তু সচিব মহোদয় ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত থাকায় তাকে দেখতে পায়নি এবং সালাম দিতে পারেন নি। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সচিব মনোজ দত্তের উপর চড়াও হয়ে মারতে যান এবং গালিগালজ করেন। পরে আমরা এর কারন জানতে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলি। কিন্তু তিনি আমাদের কথা না শুনে চলে যান।

একজন চেয়ারম্যানের কাছ থেকে আমরা এমন আচারন আশা করিনি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাই। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শাওন কথা বলতে চাননি।

তবে তিনি বলেন, সচিব যেখানে যেখানে অভিযোগ দিবেন সেটি সত্য না মিথ্যা আমি সেখানেই জবাব দিবো। কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category