লক্ষ্মীপুরে চুরি আর লুটপাট যেনো আমাদের দেশের একটি সাধারন বিষয় হয়ে উঠছে। অনিয়ম, দুনীর্তি রুখতে সরকার ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদে তথ্য অধিকার আইন পাস করে। এই আইনে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত তথ্যকে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্ল্যেখ করা হলেও তা মানতে নারাজ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপেজলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ আতিউর।
তথ্য অধিকার আইন যেনো তার কাছে কিছুই না। তার অফিসে তিনি যা করবেন তাই তার কাছে ঠিক।আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি মনগড়া কথাবার্তা বলে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেন। সাধারণ মানুষের মূল্যায়ন তার কাছে নেই বললই চলে। জনসাধারণ ও কতৃপক্ষের নিকট দায়বদ্ধতা না থাকায় খাম খেয়ালীপনায় দীর্ঘ দিন যাবত অফিস করছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দেশের সাধারণ জনগণ হিসেবে এই প্রতিবেদক তথ্য অধিকার আইনে জাতীয় তথ্য কমিশনের দেওয়া আবেদন পত্রে যথাযথ নিয়ম মেনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ডা: মোহাম্মদ আতিউরের বরাবর তথ্যের জন্যে আবেদন করলেও নানান অজুহাত দেখিয়ে আবদেন পত্র ফিরিয়ে দেন।
পরে সোমবার (২৩ আগস্ট) ফের ওই কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নতুন করে আবেদন পত্রে তথ্যের জন্যে আবেদন করলে কোনো কথা না বলেই আবেদন পত্র ফিরিয়ে দেন তিনি। বিধি মোতাবেক আবেদন পত্র গ্রহন করে নিদিষ্ট সময়ে তথ্য দেওয়ার জন্যে অনুরোধ করা হলেও তিনি তা করেননি। কারণ হিসেবে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোনো তথ্য তার কাছে নেই।
যদি কোনো তথ্য নিতে হয় তাহলে ঢাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে নিতে হবে।সব তথ্য তিনি ঢাকায় প্রেরণ করে দিয়েছেন। কোনো তথ্য তিনি দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার এমন আচরণে অসন্তুষ্টি প্রকাশ পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) সাবরিন চৌধুরীর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply