শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

লক্ষ্মীপুর মেঘনার বাঁধ নির্মাণে ৩ হাজার ৮৯ কোটি টাকা অনুমোদন

সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : বুধবার, ২ জুন, ২০২১
  • ১৯০ Time View

লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর ৩১ কিলোমিটার মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দিয়েছেন।

আজ একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই প্রকল্প পাশ করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা বরাদ্দের ফাইল তৈরি করে গত ১৭ মে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ফাইলটিতে স্বাক্ষর করেন।

(আজ) মঙ্গলবার একনেক সভায় ফাইলটি উপস্থাপনের পর এটি পাশ করা হয়। এটি অনুমোদনের ফলে লক্ষ্মীপুর রামগতি-কমলনগরে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ।

আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুজজাহের সাজুর প্রচেষ্টায় নদী বাঁধের এই ফাইলটি একনেক সভায় অনুমোদন হওয়ায় রামগতি-কমলনগরবাসীর মধ্যে আনন্দ উল্লাস করতে দেখা গেছে।

ফেসবুক ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় এমপি মেজর আবদুল মান্নান ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুজজাহের সাজুকে অভিনন্দন জানিয়ে নানা পোস্ট করতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মেঘনার অব্যাহত ভাঙন থেকে রামগতির আলেকজান্ডার বাজার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রক্ষায় ২০১৪ সালে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।

এতে আলেকজান্ডার বাজার রক্ষায় প্রায় তিন কিলোমিটার কাজ করে সেনাবাহিনী। একই বরাদ্দের অংশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি কমলনগরের মাতাব্বরহাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করে। মাতাব্বরহাটের এক কিলোমিটার বাঁধে অনিয়ম হওয়ায় এক বছরে অন্তত ১০ বার ধস নামে।

সবমিলিয়ে দুই উপজেলায় ছয় কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। কিন্তু নদীর পরিধি প্রায় ৫০ কিলোমিটার। বাকি ৪৪ কিলোমিটার এলাকায় প্রতিনিয়তই চলছে ভাঙন খেলা।

তিন যুগ ধরে সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ বহু বসতবাড়ি ও বিস্তীর্ণ এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চরকাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ওমর ফারুক ভুঁইয়া বলেন,কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুজজাহের সাজুর প্রচেষ্টায় অবশেষে একনেকে নদী বাঁধের এই ফাইলটি অনুমোদন হয়েছে।

কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাটারিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম নুরুল আমিন রাজু বলেন, ভাঙনে প্রতিদিনই মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতা আবদুজ্জাহের সাজু ভাঙন রোধ প্রকল্পের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

ফাইলটিতে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন পূরণ করেছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য আবদুজ্জাহের সাজু বলেন, নদী ভাঙন রোধ এ অঞ্চলে মানুষের প্রাণের দাবি। জন্মভূমি রক্ষা এবং মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য আমি বিভিন্ন কার্যালয়ে যোগাযোগ রেখেছি।

অবশেষে অবহেলিত জনগোষ্ঠী কাঙ্ক্ষিত সেই ফাইল অনুমোদন হয়েছে। প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলা মেঘনা নদী ভাঙন কবলিত। ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ অন্তত ২০ কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন।

ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। পানিসম্পদ মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

আলোকিত জনপদ ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
https://www.facebook.com/alokitojanapad

দেশ বিদেশের সব খবর সবার আগে জানতে আলোকিত জনপদ ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন।
ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই আলোকিত জনপদ এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন।
বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

আলোকিত জনপদ এর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category