সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

পাওনা টাকা চাওয়ায় মেয়েকে দিয়ে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৯৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাড়ী করার জন্য ১৫লক্ষ টাকার ইট বালু সিমেন্ট বাকিতে দিয়ে পাওনা টাকা চাওয়ায় ধর্ষণ মামলার আসামী হলেন মেসার্স আমেনা এন্টারপ্রাইজের মালিক দ্বীন ইসলাম নামে এক নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসায়ীকে। রবিবার বিকালে মাদারীপুর সাংবাদিক সংগঠন মৈত্রী মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন ‘মেসার্স আমেনা এন্টারপ্রাইজ’ মালিক দ্বীন ইসলাম। দ্বীন ইসলাম মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পূর্ব রঘুরামপুর গ্রামের কালিতলা বাজারের মৃত চান মিয়া রাঢ়ীর ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে দ্বীন ইসলাম জানান, আমার একমাত্র নির্মাণ সামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আমেনা এন্টারপ্রাইজ থেকে রড, ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়ে সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের আব্বাস মোল্লার স্ত্রী রাশিদা বেগম নিজে এবং তার কন্যা পপি আক্তারের বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণ করিয়াছেন। রাশিদা বেগমের স্বামী আব্বাস মোল্লা ও দুই পুত্র সৌদি আরব এবং জামাতা সিঙ্গাপুর থাকে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর নাম দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল নেয়। টাকা পরিশোধ করার জন্য বার বার তাগাদা দেওয়ার পর রাশিদা বেগম আমাকে গত বছরের ৬জুলাই ইসলামী ব্যাংকের একটি চেক দেন। আমি উক্ত চেক নগদায়ন করার জন্য গত বছরের ৯সেপ্টেম্বর তারিখে চেক জমা দিলে একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকায় চেক ডিসঅনার করে। পরে আমি রাশিদা বেগমকে জানাইলে তিনি বলেন আগামী একমাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করিয়া দিবো। কিন্ত টাকা পরিশোধ না করায় আমি আমার প্রাপ্ত পাওনা টাকা চেয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর উকিল নোটিশ পাঠাই। সবশেষে আমি রাশিদা বেগমের বিরুদ্ধে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাওনা টাকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে মামলা দায়ের করি। কিন্ত উল্টো আমার নামে গত ১৩ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে রাশিদা বেগমের মেয়ে পপি আক্তার। প্রকৃতপক্ষে এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তাই উচ্চ আদালত থেকে ৮সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমরা বিরুদ্ধে চলতি মাসের ১৩ জানুয়ারী কয়েকটি মিডিয়ায় ‘প্রবাসীর স্ত্রী গোসলের দৃশ্যধারণ করে ব্লাকমেইল করার অভিযোগ’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত করানো হয়। কিন্ত এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাছাড়া মিথ্যা ধর্ষণ মামলার মেডিকেল রিপোর্টে নেগেটিভ আসছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category