শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পানি উন্নয়নের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মান, সরেজমিনে পানি উন্নয়ন কর্মকর্তা ব্যক্তিগত ব্রান্ডিং উন্নয়নের লক্ষ নিয়ে ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আর্ট অফ লিভিং প্রজেক্ট বাস্তবায় গোপালগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের খুনিদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন হিন্দুদের নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন লোহাগড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন স্থগিত লোহাগড়ায় বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ট্রাকের চাপায় ১ জন নিহত ছয়তলা ভবন থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী র‌্যাব-৮ কর্তৃক গ্রেফতার ক্লাস চলাকালীন বিদ্যালয়ে আগুণ! পুড়ে গেছে দুটি শ্রেণীকক্ষ

মেটাল কয়েনে বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

আলেকিত জনপদ ডেস্ক
  • Update Time : শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪
  • ৬৫ Time View

মেটাল কয়েনে মাত্র ৩০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে দুই দিনের ব্যবধানে পাওয়া যাবে শত কোটি টাকা। এমন প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি চক্র।এই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সম্প্রতি চাঁদপুর ও ফেনী থেকে এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কাজী মো. ইউছুফ (৪৬) ও মো. মানিক মোল্লা (৬৬)।

পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মো. রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ২০১৫ সালে পূর্ব পরিচিত মো. ইউসুফের মাধ্যমে পরিচয় হয় আরেক অভিযুক্ত মানিক মোল্লার। পরিচয়ের সূত্র ধরে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় মানিক মোল্লাসহ চক্রটি।

তিনি বলেন, প্রথমে চক্রটি মানুষের সঙ্গে সখ্য ও বিশ্বাস স্থাপন করে। এরপর তাদের মেটাল কয়েনে ইনভেস্ট করার কথা বলে। এভাবেই ভুক্তভোগী রফিকুলকে চাঁদপুরের বাসায় নিয়ে যায় মানিক মোল্লা। সেখানে মেটাল কয়েনকে বৈদ্যুতিক আলোর স্পর্শে এনে বিভিন্ন রিফ্লেকশনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখান। আর এতেই অনেকটা লোভে পড়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন রফিকুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, চুক্তি অনুযায়ী রফিকুল ইসলাম ধাপে ধাপে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা তুলে দেন চক্রের সদস্যদের হাতে। একইসঙ্গে চুক্তির কথা কেউ যেন জানতে না পারে সে শর্তে শাহ জালাল ও শাহ পরানের নামে শপথ পড়ানো হয় তাকে।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাস্তবে এমন কোনো কয়েনের অস্তিত্ব এখনও কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকটা ‘তক্ষক’, ‘সীমান্ত পিলার’ এর মতো এটাও একটা প্রতারণার কৌশলমাত্র।

তিনি জানান, চাঁদপুর থেকে ফেরার পথে সদরঘাটে এসে চক্রের অন্য সদস্যরা সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশের ছদ্মবেশে ইউসুফ ও মেটাল কয়েনটি তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। এ সময় রফিকুল ইসলামসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদের একটি নাটক সাজিয়ে শেষে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে চক্রের আরেক সদস্য সাখাওয়াত এসে কয়েনটি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিতে রফিকুলের কাছে থেকে আরও ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং আরেক সদস্য লিটন ৮০ লাখ টাকা নিলে তখন রফিকুল ইসলামের সন্দেহ হয়।

এরপর গত ২৫ মার্চ তিনি এ বিষয়ে রাজধানীর উত্তরার এয়ারপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই মামলার সূত্র ধরে পিবিআই অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। চক্রের অন্য সদস্যরা এখনও পলাতক। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category