চলতি বছরের মাধ্যমিক, দাখিল, ভোকেশনাল ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। রোববার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
রোববার (১২ মে) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলা হয়, ২০২৪ সালের মাধ্যমিক, দাখিল, ভোকেশনাল ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী বন্ধুকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহীদের রক্তস্নাত সংগঠন, বাংলার ছাত্রসমাজের নির্ভরতা-নিশ্চয়তার একমাত্র ঠিকানা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের সাহসী অভিযাত্রার অবিকল্প সারথি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। শিক্ষার্থী সমাজের প্রিয় বন্ধু শেখ হাসিনা প্রণীত শিক্ষানীতির আলোকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, অবৈতনিক শিক্ষা, শিক্ষাবৃত্তি ও উপবৃত্তি, আধুনিক কারিকুলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণা সহায়ক উচ্চশিক্ষা, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কলেজসমূহের সরকারিকরণ ও এমপিওভুক্তি, বিশেষায়িত জ্ঞানের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, উন্নত আবাসন সুবিধা, সেশনজট শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, অস্ত্র-সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলামুক্ত ক্যাম্পাস প্রভৃতি কর্মকাণ্ড দেশের শিক্ষা খাতে গুণগত পরিবর্তন সাধন করেছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সফলতার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতীতে নকল, পরীক্ষা কেন্দ্র দখল, প্রশ্নফাঁস ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের জীবনে যে অভিশাপ ডেকে এনেছিল, বর্তমানে তা দূর করে শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি যথাসময়ে শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে ঘুষ-দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি-প্রশ্নফাঁসমুক্ত স্বয়ংক্রিয় নিয়োগ কাঠামোর মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। একইভাবে, দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে যে সকল উচ্চশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে চায়, তাদের জন্যও প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো গঠন করা হয়েছে।
পরীক্ষা চলাকালে নিজেদের বাস্তবায়িত কর্মসূচির কথা জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটের নেতাকর্মীরা পরীক্ষার্থী বন্ধুদের পড়াশোনা, পরীক্ষার পরিবেশ, যাতায়াত ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। একইসঙ্গে, পরীক্ষার্থী বন্ধুরা যেন নির্বিঘ্নে, যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ট্রাফিক বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
Leave a Reply