সংসারে অভাব অনটন ও পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে এক যুবক। থাকতেন ভাড়া বাসায়। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী বসবাস করতেন নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ভাড়া বাসায়।
আরিয়ান নামের ২ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে একই ছাদের নিচে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন তারা। স্বামী সাইদুল ইসলাম মেহেদী (২৬) ছিলেন যাত্রীবাহী পরিবহনের হেলপার। সংসার চালাতে এনজিও থেকে কিস্তিতে নগদ অর্থ ঝৃণও গ্রহন তারা।
পুরো ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন
অভাবের সংসারে স্বামী-স্ত্রীর কলহই কাল হয়ে দাঁড়ায় মেহেদীর জীবনে। তাই নিজেকে সমস্থ দায় থেকে মুক্তি দিতে ঘরের দরজা ভেতর থেকে তালা বদ্ধ করে সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে স্ত্রীর ওড়নায় ঝুলে পড়েন মেহেদী। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে এলাকায় শোরগোল পরে যায়।
পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনা স্থলে পৌছায়। মঙ্গলবার (২০শে মার্চ) রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মাদারীপুরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার নেয়ামুল ভূইয়ার ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
স্ত্রী খাদিজা বেগম (২১) বলেন, ৫ দিন আগে তার স্বামীর সাথে কিস্তির টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মারধরও করে তাকে। তারপর স্ত্রী খাদিজা রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যায়। খাদিজা তার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করতে বারবার ফোন করলেও বেশির ভাগ সময় ফোন বন্ধ পাওয়া যেত। অভাবের কারনে কলহ থেকেই শুরু হয় নানা সমস্যা। তিনি আরও জানান, ১৯ মার্চ তাকে ফোন কলে স্বামী তাকে তার ভাড়া বাসায় ফিরে আসতে বলে।
স্ত্রী ফিরে আসলেন ঠিকই কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর। মৃত স্বামীর শোকে কাতর স্ত্রী সহ স্বজনেরা। সূত্রে জানাযায়, নিহত সাইদুল ইসলাম মেহেদী মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানাধীন বদরপাশা গ্রামের ওয়াহাব বেপারী ছেলে। মাদারীপুর মডেল থানার এসআই উচ্ছ্বাস পাল ঝুলন্ত মরদেহটি নামিয়ে সুরতহাল শেষে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেন।
Leave a Reply