ফারহানা খাতুন(৬) সঙ্গীদের সাথে খেলাচ্ছলে হাতে তুলে নিয়েছিল ম্যাচ। কিন্তু, সর্বভুক আগুনের লেলিহান শিখায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঝলসে যায় ছোট্ট শিশুর কোমল শরীরের বড় একটা অংশ।
ফারহানার বাড়ি যেয়ে দেখি প্রচন্ড গরমে অস্বাহ্যকর পরিবেশে আশঙ্কাগ্রস্হ ছোট্ট শিশুটি নিষ্পলক তাকিয়ে আছে। কষ্ট আর যন্ত্রণায় স্তব্ধ শিশুটিকে দেখে নিজের অজান্তে চোখ ভিজে এলো।
ফারহানার পিতা মোঃ ফারুক হোসেন, ভ্যান চালিয়ে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করে। সে তার চার সদস্যের সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এরমধ্যে সে তার অসুস্হ সন্তানের খাবার কিনবে নাকি ঔষধ কিনবে…..দিশেহারা, অসহায় এক পিতা তিনি। সঠিক সেবা এবং যত্নের অভাবে শিশুটির শরীরের ক্ষত দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক ইউএইচএফপিও মহোদয়ের সাথে কথা বলি।
তিনি শিশুটির ড্রেসিং, ঔষধসহ সার্বিক সেবা নিশ্চিত করেছেন। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা তাঁর প্রতি। অসহায়, বিপদাপন্ন মানুষকে সেবা প্রদানে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
আজকেই ফারহানাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। ফারহানার সঠিক পরিচর্যার জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তার পিতাকে দশ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান।
এবং ফারহানার জন্য অন্তর থেকে দোয়া করেন মহান আল্লাহ তাকে খুব দ্রুত এ দহন জ্বালা থেকে মুক্তি দেয়। অচিরেই সুস্হ হয়ে তার দুষ্টুমি ভরা হাসি আর চঞ্চল পদচারণায় মুখরিত হোক ফারুক হোসেনের ছোট্ট কুটির।
Leave a Reply