মাদারীপুর শহরের সৈদারবালী পুলিশের উপর হামলা এলাকায় মাদক নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরীহ মানুষজনকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন আগে ২ নং শকুনী এলাকার (মাদক ক্রেতা)পান্নু হাওলাদারের (২২) সাথে মাদারীপুর পৌরসভা যুবলীগের ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক(মাদক বিক্রেতা)আলামিনের টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়।
এর জের ধরেই দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দুইপক্ষের একাধিক লোকজন আহত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, মাদক পান করে অসুস্থতা বোধ করা নিয়ে কথা কটাকাটি হয় মাদক সেবনকারী পান্নু হাওলাদার ও মাদক ব্যাবসায়ী আলামিনের সাথে।
বিষয়টা নিয়ে বড় আকারের সংঘর্ষ ঘটলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল ছোড়েন স্থানীয় মহিলা মেম্বারের স্বামী ইনু মোল্লাসহ মাদক ব্যাবসায়ী আলামিনের ক্যাডার বাহিনী।
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে গেলে পুলিশের উপরও হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানার এক এসআই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
এতে ৪৫জনকে আসামী করা হয় এছাড়াও অজ্ঞাত নামা আরো ৭০/ ৮০জনকে আসামী করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এই মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের আসামী করার সাথে নিরীহ লোকজনকেও আসামী করা হয়েছে।
এদিকে সাধারণ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।স্থানীয়দের দাবী, পুলিশ অপরাধীদের না ধরে স্থানীয় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে।
এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে ,ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করেছেন স্থানীয়রা, স্থানীয় বাসিন্দা রেহেনা আক্তার বলেন, আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে।
আবার আমার দুই ছেলেকে আসামী করেছে। অথচ ঘটনার সময় আমার ছেলেরা ঘটনাস্থলে ছিলো না। আমি সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানাই।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন সাধারণ মানুষের জান মালের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে পুলিশ হামলার শিকার হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে টি আর গ্যাস ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় ও ঘটনা স্থল থেকে ইনু মোল্লাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়
Leave a Reply