নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রেলপথ ধরে হাঁটছিলেন মাদরাসাশিক্ষক মো. সাদ্দাম হোসেন। এ সময় তিনি রেললাইনের স্লিপারে ফাটল দেখতে পান। এদিকে ছুটে আসছে ট্রেন। পরে বাড়ি থেকে দ্রুত একটি লাল কাপড় নিয়ে আসেন। এরপর দুই যুবকের সহায়তায় লাল কাপড় উড়িয়ে ট্রেন থামিয়ে দেন। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান ৩৫০ যাত্রী।
রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলস্টেশন থেকে ৪০০ গজ পূর্বে রেলসেতুর পশ্চিম পাশে রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাদ্দাম হোসেনকে পুরস্কার দিয়েছেন উল্লাপাড়ার ইউএনও দেওয়ান মওদুদ আহমেদ। সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে ডেকে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। একই সঙ্গে সাদ্দামের দুই সহযোগীর হাতেও উপহার তুলে দেন ইউএনও।
সাদ্দাম হোসেনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উল্লাপাড়ার ইউএনও দেওয়ান মওদুদ আহমেদ
মাদরাসাশিক্ষক মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, রোববার দুপুরে রেলপথ দিয়ে হেঁটে শাহজাহানপুর যাচ্ছিলাম। এ সময় ঢাকা-ঈশ্বরদী রেললাইনের স্লিপারের একটি অংশে ফাটল দেখতে পাই। পরে স্থানীয় সাহারুল ও ওমর ফারুকের সহযোগিতায় বাড়ি থেকে একটি লাল কাপড় নিয়ে আসি। এরপর দুর্ঘটনা এড়াতে চলন্ত ট্রেন থামার জন্য লাল কাপড় উড়িয়ে বিপদ সংকেত দেই। কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাকা থেকে আসা নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। সাময়িক বন্ধ রাখা হয় ট্রেন চলাচল।
এদিকে, গেটম্যানের ফোন পেয়ে উল্লাপাড়া স্টেশনের কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ট্রেনটি ধীরগতিতে পার করেন। পরে রেললাইনের ফাটল মেরামত শেষে ২০ মিনিট পর ঢাকা-উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুরস্কার তুলে দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজের সহকারী অধ্যাপক শামীম হাসান প্রমুখ।
Leave a Reply