মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
এআই ব্যবহার করে যেভাবে ফ্রিতে ছবি-ভিডিও এডিট করবেন ইনস্টাগ্রামে ভিডিও এডিটিংয়ে যেসব অ্যাপ ব্যবহার করবেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজকে শোকজ ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন : আ.লীগের মনোনয়ন কিনলেন ২৫ জন মসজিদ পরিষ্কার করছিলেন ইমাম, পুকুরে ডুবে ২ সন্তানের মৃত্যু ফরিদপুরে ২ সমবায় কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আগৈলঝাড়া রামশীল খাল থেকে নিখোঁজ হওয়া ১৮ মাসের বাঁচ্চার ভাসমান লাশ উদ্ধার নড়াইলে মাইজপাড়া ও কলোড়া ইউপি নির্বাচন-২০২৪ এর ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার গরমে স্কুল বন্ধ রাখায় মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের

বশেমুরবিপ্রবি যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষকের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন

শায়ন মন্ডল
  • Update Time : রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৩৮ Time View

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে কৃষি বিভাগের শিক্ষকের অব্যাহতি চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক এইচএম আনিসুজ্জামান বর্তমানে কৃষি বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রবিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন বরাবর এই আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে প্রকাশিত যৌন হয়রানি, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসসহ বিভিন্ন অনিয়মের কথা উল্লেখ করেন। একইসাথে আনীত অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে তাকে একাডেমিক সকল কার্যাবলি থেকে অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানান।

এর আগে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর ফোনালাপ ভাইরাল হয়। এরপরই ফোনালাপকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁস সহ একাধিক অভিযোগ উঠে আসে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু আমাদের এই শিক্ষকের ক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যাতিক্রম। তিনি বিভিন্ন সময় জোরপূর্বক একাধিক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেছেন। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্যপূর্ণ আচরণ করে থাকেন। অনেকের পরীক্ষার উত্তর পত্রে নাম্বার বাড়াকমাও তার ইচ্ছামত হয়ে থাকে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের ডীন ড. মো. মোজাহার আলী বলেন, তার বিষয়ে পরীক্ষা বিষয়ক অনিয়মের বিষয়টি সত্য। তবে পরে তা শিক্ষকদের সম্মতিতে সংশোধনও করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানির বিষয়ে ভুক্তভোগীর কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তার অব্যাহতির বিষয়টি রিজেন্ট বোর্ড কর্তৃক সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগের শিক্ষক আনিসুজ্জামানের ব্যাপারে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেছি। অফিসিয়াল নিয়মানুযায়ী আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করব। তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে ঐ বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। শিক্ষক হিসেবে ঐ বিভাগে যোগদানের আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category