হে বৈশাখী।
খেয়ে না খেয়ে তোমায় নিয়ে
কত না রঙিন স্বপ্নের ফানুস উড়িয়েছি,
তোমার আগমনকে স্বার্থক করতে।
তোমাকে দু দন্ড শান্তি দিয়ে জীবনের সকল প্রাপ্তিটুকু লুভে নিতে কত যে নিরন্তর চেষ্টা করেছি।
তোমার বিরহে ইট খোলার পাশের খালে কত শত মাছের জীবন নি:শেষ হয়েছে, শুধু দুরন্ত,উলঙ্গ দ্বিপদকুলের সর্বকনিষ্ঠদের ভূরিভোজনে।
তোমার অনুপস্থিতিতে হাঁপিয়ে উঠেছে প্রকৃতির সকল সৃষ্টি। তোমার পরশ পাওয়ার লোভে চাতকি বিনিদ্র জাগে কখন তোমাতে অবগাহন করে জীবনের সপ্তরাঙা অনুভূতিগুলো আরো একবার ঝাঁঝিয়ে নিতে। কৃষকের মুখে নেই হাসি ,কামারের দেহে ঝরে ক্লান্তির ঘাম,মুটে মজুরেরা দেহকে করতে শীতল ঘুমায় গাছের তলায়। মুখে মুখে শোনা যায় তোমার আগমনের অসহ্য প্রতীক্ষার সুর।তবু কেন করছ দেরি-
হে রুদ্র বৈশাখ ?
কত আশা বুকে নিয়ে বসে আছি খোলা মাঠে,
মুখোমুখি বসিবারে মন চায় বারে বারে
তোমার দেহের উন্মাতাল উত্তপ্ত আবেশে নিজেকে করব সমর্পণ নিশ:ঙ্ক চিত্তে,
তারপর কিছুক্ষণ থেমে থাকা হৃদয় দিয়ে নি:শেষিত হবে হৃদয়ের অনুভব।
তোমার স্খলিত যৌবনে আকন্ঠ নিমজ্জিত করে আমার আপাদমস্তক নিবো শীতল করে।
তারপর গভীর ঘুমে হারিয়ে যাবো তোমাকে জড়িয়ে। তোমার রুদ্র মূর্তি দেখে জীবকুল যখন ঘরে ফিরে যাবে ,তখন থাকব আমি তোমায় জড়িয়ে। কেননা আমিতো জানি , তোমার উন্মত্ত যৌবন-ই পারবে তৃষিত ধরার তৃষ্ণা মিটাতে। তুমি আসবে নিশ্চয়ই বছর ঘুরে বারোটি মাসের শেষে উত্তপ্ত পৃথিবীকে শীতলতার পরশ দিতে-
হে বৈশাখী।
Leave a Reply