গত ইংরেজি ১৯/০৩/২০২১ খ্রিস্টাব্দ রাত ০১.০০ টার পর গভীর রাত্রে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট রুহুল আমিন তার সহযোগী জামায়াতের নেতাকর্মীদের নিয়ে নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটাবার উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন কলেজ রোডস্থ কবরী রোডের দক্ষিণ পাশে অবস্থানকালে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে উক্ত ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে জামায়াতের অন্যতম সদস্য ও ও জেলা জামায়াতের রোকন গুলশান পাড়ার শরিফ হাসানকে বিভিন্ন প্রকারের জিহাদি বই এবং সম্প্রতি ডাঃ শফিকুর রহমানের লেখা “মহান স্বাধীনতার ৫০বর্ষপূর্তি উদযাপন, দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাঃ শফিকুর রহমানের বক্তব্য” শিরোনামে প্রকাশিত বিতর্কিত প্রায় তিন শতাধিক বই সহ গ্রেফতার হন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট রুহুল আমিন এর বসতবাড়ি থেকে প্রায় চার শতাধিক একই ধরনের বই উদ্ধার হয়।
উদ্ধারকৃত বইয়ে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হেয় করে স্বাধীনতার ইতিহাস কে খন্ডিত আকারে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত শরিফ হাসানকে গ্রেপ্তার কালে সহযোগী বেশকিছু আসামি ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে আত্মগোপন করে। এই বিতর্কিত বইগুলো রাতেই বিভিন্ন স্থানে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিলি করা হচ্ছিল এবং চুয়াডাঙ্গা জেলাব্যাপী অন্তর্ঘাতমূলক এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল জনাব রুহুল আমিনের নেতৃত্বে উক্ত ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল।
উল্লেখিত ঘটনার আলোকে গ্রেফতারকৃত আসামি শরীফ হাসান সহ পলাতক তার সহযোগী আসামিদের বিরুদ্ধে গত ১৯/০৩/২০২১ খ্রিস্টাব্দে চুয়াডাঙ্গা থানার মামলা নম্বর ১৯ তারিখ ১৯/০৩/২০২১ খ্রিস্টাব্দ ধারা ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট এর ১৫/২৫-ডি রুজু করা হয়। মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) একরামুল হোসেন তদন্তকালে, উল্লেখিত ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ধ্বংসাত্মক ও নাশকতা সৃষ্টিকারী এবং স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ডাঃ শফিকুর রহমানের লেখা সেই বিতর্কিত বই সরবরাহকারীর অন্যতম আরেক সদস্য মোহাম্মদ জাব্বারুল ইসলাম ওরফে পল্টু ( ৪৩) পিতা মৃত জহিরুল ইসলাম গ্রামঃ আর আমপারা কবরী রোড, ওয়ার্ড নম্বর ০৯, থানা ও জেলাঃ চুয়াডাঙ্গা কে কবরী রোড এলাকা থেকে আজ সোমবার বেলা ০২.৩০ টার সময় গ্রেপ্তার করা হয়।
এই আসামীর কাছ থেকে একই ধরনের বই পাওয়া যায়। উল্লেখিত গ্রেফতারকৃত আসামি জেলা জামাতের একজন রোকন এবং চুয়াডাঙ্গা পৌর জামাতের অন্যতম সদস্য। উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত সকল আসামি সনাক্তকরণ সহ পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সর্বাত্মক অভিযান চালানো হচ্ছে।
Leave a Reply