সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১
  • ১৭৩ Time View

হাফিজুর রহমান:

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন। “যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান” “মুজিববর্ষের অঙ্গিকার, পুলিশ হবে জনতার” “শুভ জন্মদিন” সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০১তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সারাদিন ব্যাপি নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে । ১৭ই মার্চের প্রথম প্রহরে রাত ১২:০১ ঘটিকার সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরা পারভিন, চুয়াডাঙ্গা সদর নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন। আজ ১৭ মার্চ ২০২১। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। ১৯২০ সালের এইদিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহন করেছিলেন। ছাত্র বয়সেই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে যোগ দেন। যার কারণে তিনি বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন যাবত কারাবরণ করেন। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন দল বিজয়ী হয়েও রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারেনি। ১৯৭১ এর মার্চে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন (এর আগে থেকেও দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলে আসছিল, সংক্ষিপ্ত পরিসরে এখানে উল্লেখ করা হলো না।)। ১৯৭১ এর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু এক বিশাল জনসমাবেশে ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। পরবর্তীতে ১৯৭১ এর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ওয়্যারলেসে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দেন এবং ঐ রাতেই তিনি পাকিস্তান শাসক কর্তৃক গ্রেফতার হন। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ করেছিলেন পুলিশ সদস্যরা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে হানাদার বাহিনীর হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে রাজারবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের শতাধিক সদস্য শহীদ হয়েছিলেন।এরপরই শুরু হয়ে যায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জন্ম হয় আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের। দীর্ঘ নয় মাসের সংগ্রামের পর ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরে আমরা পাই আমাদের কাংখিত বিজয়। এই মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রায় ত্রিশ লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন এবং প্রায় তিন লক্ষ মা-বোন সম্ভম হারিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মুক্তিলাভ করেন। এবং তার পরবর্তীতে তিনি নিজ দেশে এসে রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭১ সালে শত্রুরা পরাজিত হলেও তারা বসে থাকেনি, তাদের ষড়যন্ত্র তখনো থেমে থাকেনি। ঘাতকরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যসহ আরোও অনেককে স্বপরিবারে হত্যা করে। বাঙ্গালী জাতির জীবনে নেমে আসে এক অন্ধকার অধ্যায়ের। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মদিনে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা সহ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে। বাঙ্গালী জাতি চিরদিনই তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণে রাখবে বলে আমরা দৃঢ় বিশ্বাস। জাতীয় শিশু দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিনে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category