মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন

মাদারীপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ।

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০
  • ১৩৫ Time View
নুসরাত জাহান আনিকা, মাদারীপুরঃ মাদারীপুর ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্যে শহরের প্রভাবশালী একটি মহল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রসূতির স্বজনরা হাসপাতালের সামনে দোষীদের বিচারের দাবিতে অবস্থান নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মাদারীপুরের ডাসার থানার আটিপাড়া গ্রামের রুনা আক্তার (২২) নামে এক আন্তঃসত্ত্বার প্রসব বেদনা উঠলে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফায়সাল কাবীর ও ডা. ফারজানা আফিয়া মেঘলা ওই প্রসূতিকে সিজার করেন, একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। এসময় প্রসূতির রক্ত প্রয়োজন বলে তার স্বামী রমজান মালকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রসূতির অবস্থা বেগতিক বলে নিজেরাই একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, দেড় থেকে দুই ঘন্টা আগে প্রসূতি মারা গেছে। স্বজনরা রুনা আক্তারের মরদেহ নিয়ে পুনরায় ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মৃতদেহটি দাফন করতে বলেন। কিন্তু বিয়ষটি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা পুলিশকে জানালে সন্ধ্যার দিকে সদর থানা পুলিশ এসে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে।
নিহতের স্বামী রমজান বলেন, ‘আমাকে রক্ত আনার কথা বলে হাসপাতালের লোকজন নিজেরাই আমার স্ত্রীকে ফরিদপুর পাঠিয়ে দেয়। তারা কোন কাগজপত্র দেয়নি। পরে ফরিদপুর গিয়ে জানি, ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে সিজার করার সময়েই আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলছে। তারা আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্যে অনুরোধ করে। আমি টাকা চাই না, দোষীদের বিচার চাই।’
তিনি বলেন, ‌‘সিজার করার সময় এনেস্থিশিয়া ডাক্তার ছিল না। ফলে আমার স্ত্রীকে ভুল চিকিৎসা করে মেরে ফেলেছে।’
তবে ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির ভুল চিকিৎসার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘রোগীর প্রেসার বেশি থাকায় চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করে। সেখানে গিয়ে রোগী মারা গেছে। আমাদের কোন অবহেলা ছিল না।’ আর টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপার বিষয় বলেন, ‘রোগী গরিব হওয়ায় দাফন-কাফনের জন্যে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান মিয়া জানান, ‘নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category