এস এম নাসিম উদ্দিন :
স্থানীয় সরকারের বাৎসরিক কর পরিশোধ না করেই দেদারছে চলছে ব্যবসা, জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের ৬ টি ইট ভাটার একটিরও নেই ট্রেড লাইসেন্স। গতকাল রোববার স্থানীয় জনমুখে খবর পেয়ে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি মৌসুমে একটি ইটভাটাও করেনি ট্রেড লাইসেন্স স্থানীয় সরকারের কর পরিশোধ না করেই চলছে ইট ভাটা মালিকদের রমরমা ব্যবসা। কেডিকে ইউপি সচিব মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ২ বার নোটিশ করা সত্বেও ভাটা মালিকদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি, সর্বশেষ ০৭/০১/২০২১ তারিখে পাঠানো নোটিশের রিসিভ কপিতে ৬ টি ইট ভাটা মালিকদের স্বাক্ষর থাকলেও কর পরিশোধ, করে ট্রেড লাইসেন্স করেননি কেউ। স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ কর তফসিল ২০১৩ ও স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রালয়ের প্রঞ্জাপন দেখে জানা যায়, মূলধন, বা পরিশোধিত মূলধন ৪০ লাখের বেশি হলে সেক্ষেত্রে সর্বচ্চো বাৎসরিক করের পরিমাণ হবে ৫০ হাজার টাকা, খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, বেশিরভাগ ইট ভাটা মালিদের মূলধন ও সম্পদের পরিমাণ কোটি টাকার বেশি, কিন্তু ১০ হাজার টাকার বেশি কর দিতে নারাজ কেডিকে ইউনিয়নের ইটভাটা মালিকগণ। অপরদিকে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন এলাকায় ৪ টি ইট ভাটার মালিকরা ২০ হাজার টাকা করে বাৎসরিক ইউনিয়ন পরিষদ কর পরিশোধ করেছেন মর্মে ইউপি সচিব হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কেডিকে ইউনিয়নের, পিয়াস বীক্স এর সত্বাধীকারী আসাদুজ্জামান আকুল, সরকার বীক্স এর বাপ্পি মিয়া, শেখ শাহ বীক্স এর শামীম মিয়া, এ এম বি বীক্স এর আরিফ মিয়া সহ একাধিক ভাটা মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে ‘১০ হাজার টাকার বেশি টাকা কর দেওয়া লাগলে, ইউনিয়ন পরিষদ কর পরিশোধ করে ট্রেড লাইসেন্স করবেন না মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলু’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বার বার লাইন বিজি দেখানোয় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply