মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

আল-জাজিরার সংবাদ ভুয়া

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ১৮০ Time View

বাংলাদেশের নাগরিকদের মনে সংশয় সৃষ্টি করা আল-জাজিরার তথাকথিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘অল প্রাইম মিনিস্টার ম্যান’ এর ব্যাপ্তি এক ঘণ্টা বিশ সেকেন্ড।

একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদো দীর্ঘ সময়ের প্রতিবেদন কিছু হাওয়াই অভিযোগ নিয়ে চর্চা করা হয়েছে। যেকোনো সত্যনিষ্ঠ অনুসন্ধিষ্ণু দর্শক দীর্ঘ প্রতিবেদনটি গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখলেই বুঝবেন সত্যান্বেষ নয় বরং রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার জন্যই এই অনুসন্ধাণী প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রমাণ্য চিত্রে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তা একজনের বরাতে তিনি হলেন সামি। চার্তুর্যে সঙ্গে তার পুরো নাম এবং পরিচয় গোপন করা হয়েছে।

কে এই সামি?

সামির পুরো নাম সামিউল আলম। ২০০২ সালে ইউরোপ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অন্যতম বিজনেস পার্টনার। হাওয়া ভবনের তারেক জিয়ার অন্যতম সহযোগী। ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনে মোস্ট হয়ানটেড দুর্নীতিবাজদের অন্যতম। তার বক্তব্যেই এই প্রামাণ্য চিত্রির মূল উপজীব্য। তিনি নিজেই একজন প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ।

দুইজন বিতর্কিত লোকের বক্তব্য পাওয়া যায় প্রতিবেদনে। তাদের একজন বিতর্কিত নেত্র নিউজের তাসনিম খলিল। অন্যজন যুদ্ধাপরাধীদের এজেন্ট এবং তারেক জিয়ার বেতনভুক্ত উপদেষ্টা ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান। এদের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, এরা সরকার বিরোধী প্রোপাগান্ডা মিশনে নেমেছেন।

ক্যামেরার বাইরে ভয়েস শোনা ব্যক্তি কে?

এই প্রমাণ্য চিত্রে আরও একজনের কণ্ঠস্বর শোনা যায় যিনি তার চেহারা দেখাননি তিনি হলেন কনক সারওয়ার। কনক সারওয়ার সরাসরি তারেকের কর্মচারী। তারেকের নির্দেশেই এই প্রামাণ্য চিত্রটা দেখলেই বোঝা যায়, লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া প্রযোজিত এই প্রোপাগান্ডা প্রামাণ্য চিত্রটি।

তারেক জিয়ার অনুগতরা মিলে এটি বানিয়েছে। তথ্য উপাত্ত না থাকলেও প্রমাণ্য চিত্রে ফিল্মী কায়দায় সুপার এডিটিং আছে। আছে ভয়েজ টেম্পারিং। বিপুল ব্যয় হয়েছে প্রমাণ্য চিত্রটি নির্মাণে। বাংলাদেশ ছাড়াও সিঙ্গুপুর মালয়েশিয়া হাঙ্গেরি এবং ফ্রান্সে এর শুটিং হয়েছে।

এটি ভুয়া তার প্রমাণ কি?

সব অপরাধীই অপরাধের একটা করে প্রমাণ রাখে। এই প্রামাণ্য চিত্রে এরকম অসংখ্য অসংগতি আছে। প্রমাণ্য চিত্রটা যে উদ্দেশ্যপূর্ণ তার বেশকিছু প্রমাণ আছে। প্রামাণ্যচিত্রের শুরুতেই হারিছকে বলা হয়েছে ‘সাইকোপ্যথ’। মানসিক ভারসাম্যহীন একজন ব্যক্তির কোন বক্তব্যই বিবেচনার দাবি রাখে না। এই তথ্য বোধহয় তারেকের অনুগত পেটোয়া তথাকথিত সাংবাদিকরা বোঝে নাই। এখানে তারেক জিয়ার বিজনেস পার্টনার, ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানকে এনে আরেকটা কাঁচা কাজ হয়েছে। সবাই বুঝেছে একজন দুর্নীতিবাজের টাকায় আরেকজনকে দুর্নীতিবাজ বলার চেষ্টা হয়েছে এই প্রামাণ্য চিত্রে। সূত্র: বাংলাইনসাইডার

সারাদিন/২ফেব্রুয়ারি/এএইচ

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category