রণিকা বসু(মাধুরী) বিশেষ প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারীতে এস এম মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সুভাষ মন্ডল নামের এক সিনিয়র সহকারী শিক্ষকের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে শেখর ভক্ত নামের এক ব্যক্তি। নিজস্ব ঘটনাকে ভিন্ন খাতে দেখিয়ে শিক্ষকের সুনাম সুখ্যাতি নষ্ট করার পায়তারা চালাচ্ছে তিনি। বুবধার সন্ধ্যায় চিতলমারী প্রেসক্লাবে এক লিখিত আবেদনের মাধ্যমে এসব কথা জানান সহকারী শিক্ষক সুভাষ মন্ডল। লিখিত আবেদন থেকে জানাযায়, সুভাষ মন্ডল (৫২) জমিজমা সংক্রান্ত ১৫০ ধারার একটি মামলার নম্বর আনতে চিতলমারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে আট মাস ধরে যাওয়া আসা করছে। ১৮ জানুয়ারী মামলার নম্বর আনতে গেলে অফিস সহকারী বিধান চন্দ্র রায়ের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। ওই সময়ে অফিস সহকারীর মামাতো ভাই শ্রীরামপুর গ্রামের সুভাষ চন্দ্র ভক্তের পুত্র শেখর ভক্ত অকারণে গালাগালি করে। বিষয়টি সহকারী কমিশার (ভূমি) তাৎক্ষনিক ডেকে সামাধান করে দেন। ১৯ জানুয়ারী শিক্ষক সুভাষ মন্ডল চিতলমারী বাজারের কাপুড়িয়া পট্টিতে গেলে শ্রী দুর্গা ক্লথ স্টোরে অবসপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ রানাকে দেখে কথা বলতে যায়। তখন শেখর ভক্ত এসে জনসম্মুখে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং মারতে উদ্ধত হয়। ওই মুহুর্তে উপস্থিত জনগণ তাদের সরিয়ে দেন। পরদিন শিক্ষক সুভাষ মন্ডল মানুষের কাছে শুনতে পায়, তার নামে শেখর ভক্ত থানায় লিখিত অভিযো করেছে এবং নবধারা নামের একটি পত্রিকায় “সাংবাদিকের উপর হামলা, থানায় লিখিত অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ দেখতে পায়। এতে ওই শিক্ষকের মানহানি ঘটেছে। তিনি বলেন ওই সংবাদ মিথ্যা ও বানোয়াট। শ্রী দুর্গা ক্লোথ স্টোরের স্বাত্তাধিকারী স্বপন চিতলমারী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার সময় দু’পক্ষ একটু উত্তেজিত ছিল, তবে কেউ কারো গায়ে হাত দেয়নি। শেখর ভক্ত সাংবাদিকদের জানান, সুভাষ মন্ডল সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে বিধান বাবুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন তার সাথে আমার বাক বিতন্ডা হয়। পরদিন বিকালে বাজারের একটি দোকানে সে আমার ওপর একটি লোক ঠেলে দিয়ে ধাক্কা দেয়। পরে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ওসি মীর শরীফুল হক বলেন, শেখর ভক্ত নামের এক ব্যক্তি শিক্ষক সুভাষ মন্ডলের নামে একটি অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
Leave a Reply