নিউজ ডেস্ক
প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয় কাঞ্চনপুরের এরশাদ ও কান্দুলিয়া গ্রামের আফরোজা আক্তার দম্পত্তির। সংসার জীবনে তাদের ঘরে সাফায়াত হোসেন আরাফ নামে ০৮ বছরের একটি সন্তান আছে। এরশাদ তার স্ত্রীকে অত্যাচার নির্যাতন করায় অশান্তির কারনে এবং সংসারে বনিবনা না হওয়া আনুমানিক চার বছর আগে সন্তানকে নিয়ে আফরোজা তার বাবার বাড়ী কান্দুলিয়ায় চলে আসে। এরই মধ্যে এরশাদ কয়েকবার তার স্ত্রী কে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এক পর্যায়ে তিন মাস আগে আফরোজা তার স্বামী এরশাদকে তালাক দেয়। এর পরেও এরশাদ বিভিন্নভাবে আফরোজাকে আবারও তার ঘরে নেয়ার প্রস্তাব দেয়। এরই মধ্যে এরশাদ ভুল খবর পায় যে আফরোজা আরেক জায়গায় বিয়ে করেছে। এই খবর শোনার পর এরশাদ তার সন্তানকে মেরে ফেলে নিজে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে মোতাবেক পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী অদ্য ১৬/০১/২০২১ খ্রিঃ তারিখ ১০:০০ টার দিকে এরশাদ তার ছেলেকে দেখার কথা বলে নতুন গেঞ্জি, প্যান্ট ও কিছু ফলমুল কিনে ছেলেকে দেখতে আফরোজাদের বাড়ী যায়। সেখানে গিয়ে তার সন্তানকে নতুন জামা কাপড় পরানোর কথা বলে বারান্দার একটি কক্ষে নিয়ে যায়। ঘরের দরজা বন্ধ করে এরশাদ তার ছেলের সাথে কথাবার্তা বলে নতুন জামা কাপড় পরতে দেয়। জামা কাপড় পরার সময়ই এরশাদ তার সাথে থাকা দড়ি দিয়ে ছেলের গলায় প্যাঁচ দিয়ে ধরে টান মারে। ছেলে মৃত্যুযন্ত্রণায় নাড়াচাড়া করতে থাকলে ছেলেকে ধরে চৌকিতে আছাড় মারে এবং গলায় রশি প্যাচিয়ে ঘরের চালের ধর্ণার সাথে নিজের ছেলেকে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে নিজেই লাশ নামিয়ে ফেলে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় পুলিশ তাৎক্ষণিক পাষান্ড পিতা আসামী এরশাদকে গ্রেফতার করে। শিশুটির লাশ ময়না তদন্তের জন্য আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এতোমধ্যে ধৃত আসামী এরশাদ নিজের ছেলেকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
Leave a Reply