চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
মো: শাকিল আহম্মেদ পিতা: মো: আদম আলী মাতা …………… ঠিকানা: ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের এসিল্যান্ড বস্তি শিল্প কলা পাড়া (আদমনগর)। কর্মরত: প্রতিদিনের সংবাদ, বিডি নিউজ ২৪ ডট কম, ভয়েজ টিভি, সাধারণ সম্পাদক- ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, প্রেস ক্লাবের নবীন সদস্য। শিক্ষকতার যোগ্যতা : ৮ম শ্রেনী পাসের দীর্ঘ ১০ বছর বিরতির পর ঠাকুরগাঁও উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ২০১৯ সালে এসএস সি পাস করেন। জানা যায় যে, শাকিল এবং তার পিতা আদম আলী উভয়ে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ও সেবনকারী। ইতি পূর্বে মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়লে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: মুনসুর আলী সাংবাদিকদের মানসম্মানের তাকিদে তাকে রাতেই ছাড়িয়ে নেন। আমাদের বাজার নামে (মার্কেট) ২তলা ভবনে একটি অফিস নেন। সেই অফিসে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক কেনা-বেচা ও স্থানীয় কয়েক জনকে নিয়ে মাদক সেবন করেন সে। শাকিল কিছু তরুন সাংবাদিককে নিয়ে একটি চাঁদাবাজির নেটওয়ার্ক তৈরি করেন। নেটওয়ার্কটি হচ্ছে ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ( যার সদস্যরা তৈল ব্যবসায়ী , মোটসাইকেলের মেকার, মোবাইল মেকার, মুরগীর পাইকার শো রুম বয়, ইয়াবা ব্যবসায়ী ) যার সভাপতি দৈনিক ইত্তেফাক, জাগো নিউজ ডট কম, ইন্ডিপেন্ডেন টিভির ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি ও ইয়াবা সেবক তানভীর হাসান তানু যার মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন জায়গায় মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে আসেন। আরও জানা যায় যে, শাকিল বিএনপির টোকাই ছিলেন, (যার কাজ হলো অবৈধ মাল দেওয়া নেওয়া) এর পর সংসারের অভাবের তারনায় স্থানীয় দৈনিক লোকায়ন পত্রিকা অফিসে টি বয়ের কাজ নেন। পরে সেখান থেকেই বিভিন্ন সাংবাদিকদের সাথে পরিচয় হলে তাদের হাত ধরেই সাংবাদিকতায় পা রাখেন। এবং দৈনিক প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি মজিবুর রহমান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিকে ৩০ হাজার টাকা প্রদানের মাধ্যমে সুপারিশ করে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ প্রোরটাল বিডি নিউজ 24 ডট কমে যোগদান করেন। অফিসের টি বয় ও বিএনপির টোকাই থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এডভোকেট মোস্তাক আলম টুটু (যাকে জেলার বেশির ভাগ মানুষই রাজাকারের ছেলে হিসেবেই চিনেন) মাধ্যমে আওয়ামীলীগে খাস লোক হয়ে যায়। এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মিটিং মিছিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের অল্প দিনেই অতি প্রিয় হয়ে উঠেন। এবং আওয়ামীলীগ নেতাদের ব্যবহার করে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ ছিনিয়ে নেন। এবং যেসব সাংবাদিক সত্যের পথে কলমের কালি ব্যবহার করতে চাই বা ইতি পূর্বে ব্যবহার করেছে প্রেসক্লাবের সভাপতিকে ভুলভাল বুঝিয়ে তাদের মেরুদিন্ড ভেঙে দিয়েছে। এই মধ্যে অনেক ভালো ভালো তরুন সাংবাদিক সাংবাদিকতা ছেড়েছেন ও দুই জন সাংবাদিক আইসিটি আইনে মামলাও খেয়েছে । এখানেই শেষ নয়……… ২০১৯ সালের অক্টোবরে শাকিলের চাচা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক সোহেল রানা (নেংরা সোহেল) মাদক সেবন করে রাত ৩টার সময় কলেজ পাড়ায় এক বিধবা মহিলার ঘরে ঢুকে তার ইজ্জত নেওয়ার চেষ্টা করলে মহিলাটির চিৎকারে স্থানীয়রা টের পেলে মাদকাসক্ত সোহেলকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু তৎক্ষণাৎ শাকিল সে সময়ের ওসি আশিকুর রহমানের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় রাতেই চাচা সোহেলকে ছাড়িয়ে আনেন। পরের দিন ঐ বিধবা মহিলাটি থানায় সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে আসলে ওসি আশিকুর রহমান তাকে কিছু টাকার বিনিময়ে মীমাংসার কথা বলে। স্থানীয়রা সোহেলকে গ্রেফতারের দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন করলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করেননি। এবং সোহেলের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিক নিউজ করলে তাকেও শাকিল বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। একই বছরের নভেম্বর মাসে জেএসসি পরিক্ষা চলাকালীন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৭ নং চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আইয়ুব আলীর উদ্দ্যেগে একটি যাত্রা অশ্লীন নাচ গানের আয়োজন করা হয় এবং সে অনুষ্ঠানের স্পেশাল অতিথি হিসেবে ছিলেন শাকিল। পরে বিষয়টি জানা জানি হলে কোন সাংবাদিক নিউজ করবে না এই মর্মে শাকিল চেয়ারম্যানের কাছে প্রায় ১ লক্ষ টাকা নিয়ে আসেন। পরে কিছু সাংবাদিক নিউজ করতে চাইলে প্রেস ক্লাবের সভাপতিকে হাত করে বাকি সাংবাদিকদের চাপিয়ে দেয়। আরও জানা যায়, স্কুল/কলেজ পড়ুয়া বেশ কয়েক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং শেষে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ছেড়ে দেয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম দিকে এক মেয়ের সাথে বিয়ে করার কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে মেয়েটি ৪ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে গোপনে শহরের বাইরে এক ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে। ঠাকুরগাঁওয়ের অনেক মেয়ের সাথে প্রতারনা করে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মেয়েদের সাথে প্রতারণায় শাকিলের সহযোগী ছিলেন প্রেসক্লাব সদস্য নাহিদ রেজা নামের আরেক সাংবাদিক। নাহিদ রেজা বৈশাখী টিভি, নবচেতনা, বার্তা24 এর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন কিন্তু তার অনৈতিক ও চাঁদাবাজির জন্য টিভি, পত্রিকা হাত ছাড়া হয়ে যায়। বর্তমানে শাকিল নাহিদ রেজা এক সাথে চলা ফেরা করেন। সম্প্রতি, শাকিলের পরিবারের অত্যাচার ও পিতা পুত্রের মাদক ব্যবসারও সেবনে এলাকাবাসী কয়েকবার থানায় অভিযোগ ও মানববন্ধন করেছেন। কিন্তু পুলিশের সাথে সক্ষতায় কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। শাকিল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নিজে এলাকার নাম করন করেছে পিতার নামে আদম নগর। পত্রিকার অফিসের টি বয় থেকে বর্তমানে প্রভাবশালী একক ক্ষমতাধর পুলিশকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলছেন শাকিল ভালো ছেলে। তথ্য সূত্রে: (নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ) এলাকাবাসী, জেলার সিনিয়র সাংবাদিক ও ভুক্তভোগীরা ।
Leave a Reply