বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

আন্দুলবাড়ীয়ায় প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙুলী দেখিয়ে হাফ ডজন স্থানে খালি করা হচ্ছে কৃষিজমি পুকুর খননের নামে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২১
  • ১০২ Time View

আন্দুলবাড়ীয়া প্রতিনিধি 

শীতকাল মানেই ইটের মৌসুম মাটির চাহিদাও অনেক ভাটা মালিকদের প্রচরণা ও লোভে পড়েই একের পর এক কৃষি জমি পুকুর খননের নামে খালি করে দেওয়া হচ্ছে একাধিক স্থানে ইস্কেভেটর মেশিন দিয়ে ও বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি বিক্রির মহোৎসব অব্যাহত রয়েছে। জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ও কেডিকে ইউনিয়ন এলাকার নব নির্মিত রাস্তা গুলোর মাটির প্রলেপ লক্ষ্য করলেই পাওয়া যায় প্রমাণ প্রতিদিন কি পরিমাণ মাটি আনা নেওয়া করা হয়, রাতের আধারেও বন্ধ হয়না কার্যক্রম, ইতিমধ্যেই প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মাটি ও বালু বিক্রি করেছেন অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন কারীরা লোকমুখে প্রচলিত হয়ে গেছে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্তাপনা আইনে অবৈধ কারবারীদের জরিমানার পরিমাণ বালু ও মাটি বিক্রির অবৈধ অর্থের কাছে খুবই সীমিত, জরিমানার টাকা পরিশোধ করেই আবার প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে দ্বিগুণ গতিতে মাটি দস্যু বালু দস্যুরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন মাটির বিক্রির অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইট পোড়ানোর মৌসুম হওয়ায় মাটির দাম তুলনামূলক বেশি, ইট ভাটায় অধিক চাহিদার কারনে দাম বেশি পাওয়ায় এমনটা করছেন এলাকার প্রভাবশালী নেতারা, এতে করে খননকৃত জমির পাশ্ববর্তী কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সেইসাথে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কুলতলা গ্রামের , কুলতলা থেকে নিশ্চিন্তপুরে সরাসরি যোগাযোগের একটি মাত্র সড়ক, এই সড়কের সাথে অবস্থিত প্রায় ৪ বিঘা কৃষি জমি ইস্কেভেটর মেশিন দ্বারা খালি করে মাটি বিক্রির মহাউৎসবে মেতেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রহমান, ভাটা মালিকদের সহায়তায় আশে পাশের জমির মালিকদের মেনেজ করে ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মাটি বিক্রি করেছেন এমনটাই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার নীরবে সহ্য করতে হচ্ছে সবাইকে মুখ খুললেই হতে পারে মহা বিপদ। এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রহমান সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় মাটি বা বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি পাননি তিনি নিজের জমি হওয়ার আর কোনো বাধা না থাকায় পুকুর খনন করছেন । অপরদিকে আন্দুলবাড়ীয়ার কর্চ্চাডাঙ্গা প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন স্থানে শীত কালীন সবজী বাঁধাকপি চাষ করা কৃষি জমি উজাড় করে ইস্কেভেটর দিয়ে পুকুর খননের নামে গভীর খনন করে অবৈধভাবে মাটি বিক্রির রমরমা ব্যবসা করে আসছেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সমীর উদ্দিন। এ ব্যাপারে সমীর উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পুকুর খননের কোনো অনুমতি পায়নি কয়েক দিনের মধ্যেই অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে। আবার জীবননগর উপজেলার, নিশ্চিন্তপুরে প্রাইমারী স্কুলের নিকটস্থ ভৈরব নদীর তীরেও বন্ধ হয়নি খাস জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি, প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বালু উত্তোলনের, থেমে নেই দেলোয়ার, মিনুয়ার, আনোয়ার, এদিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুণেও বন্ধ হয়নি জীবননগর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা মিলন, নাসির এর বালু উত্তোলন, অবৈধভাবে মাটি বিক্রির ব্যবসা, জীবননগর উপজেলার পোঁকামারী গ্রামে দুইটি স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি বিক্রির ব্যবসা চলে আসছে। জেল জরিমানা গুণেও অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করছে না ব্যবসায়ীরা। এসব আবাদ উপযোগী কৃষি জমি রক্ষা করতে চুয়াডাঙ্গা জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব, নজরুল ইসলাম সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিকরা।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category