নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন
শুরুতেই আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে নির্মমভাবে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী ভেবেছিলো বাংলাদেশ থেকে মেধাশূন্য করার। তাই খুনি পাক হানাদার বাহিনী অতর্কিতে বাংলাদেশের আনাচ-কানাচ থেকে বেছে বেছে জ্ঞানীগুণী বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের এই নির্মমভাবে হত্যা কান্ড বিশ্বময় এক কালো অধ্যয়। আমরা বাঙালি জাতি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শূন্যতা কোনদিন পূরণ করতে পারিব না। শহীদ বুদ্ধিজীবী এই জ্ঞানী-গুণীজন আজ জীবিত থাকলে বাংলাদেশ হত বিশ্ব মানচিত্রে এক অনন্য সমৃদ্ধশালী দেশ।
এরপরেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরিতাপের বিষয় জাতির পিতাও রক্ষা পায়নি খুনি মোস্তাকদের হাত থেকে, যারা ছিল পাকবাহিনীর নীরব বন্ধু।
জাতির পিতা হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা ভঙ্গুর বাংলাদেশের হাল ধরেন। আজ দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেশরত্ন জননেত্রী হাতে বাংলাদেশকে আরো অনেক উপরে দেখতে চাই এবং আশা ব্যক্ত করি ২০৪১ সাল, দেশের উন্নয়নে যে দিকনির্দেশনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন সেটা অবশ্যই পূর্ণতা লাভ করবে। দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা আমরণ কাজ করে যাব।
শেষ করার পূর্বে আমি আর একবার হৃদয়ের গহীন থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি। হে শহীদ বুদ্ধিজীবীগণ, আপনারা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, আপনারা জাতির সূর্যসন্তান, আপনারা আছেন আমাদের হৃদয়ে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আপনাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে বাঙালির হৃদয়ে লেখা থাকবে।
Leave a Reply