আমার গায়নিকোলোজিস্ট ছিলেন ডা: ইন্দ্রনীল সাহা। এমন মানবিক ডাক্তার আমি জীবনে খুব কম দেখেছি। প্রথম দিন চেক আপে গিয়েই ওনার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছিল আমরা ডাক্তার বাবুর খুব কাছের মানুষ। খুব পজিটিভ ভাইব পেতাম ওনার কাছে গিয়ে। কখনও কোনো অহেতুক টেস্ট করাতেন না। আমাদের ইচ্ছে ছিল নরমাল ডেলিভারি হোক। উনিও সেটাই চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার কিছু সমস্যা হওয়ায় আর তা করা সম্ভব হয়নি।
কলকাতায় খুব কম ডাক্তারই চান, নরমাল ডেলিভারি করাতে। উনি কিন্তু চেয়েছিলেন। আমার আনেস্থেশিওলজিস্ট ছিলেন ডা: আনন্দ শর্মা, খুব ভাল মনের মানুষ। ওনার কাজের সময়ও মিউজিক থেরাপি করেন। যেমন প্রথম যখন এপিডিউরাল দিতে আসেন তখন ভজন চালিয়ে সঙ্গে গাইতে গাইতে কথা বলতে বলতে ইনজেকশন দেন। রোগী হিসেবে আমার মিউজিক থেরাপির অভিজ্ঞতা হয়। তখন কষ্ট হলেও মনটা ডাইভার্ট হয়ে যাচ্ছিল। পিডিয়াট্রিশিয়ান ছিলেন ডা: লোকেশ পান্ডে। ইনিও একজন খুব অভিজ্ঞ ডাক্তার।
আমি একটা কথা বলতে চাই যেহেতু নরমাল ডেলিভারির ব্যথা অনেক কাছ থেকে দেখেছি তাই বলতে পারি নরমাল আর সিজারিয়ান সেকশন দুটো আলাদা পদ্ধতি। একটার সঙ্গে অন্য টার তুলনা হয় না। নরমাল হলে আগে কষ্ট হয় ডেলিভারির পর তেমন কষ্ট হয়না।
আর সিজারিয়ান সেকশনে বাচ্চা হওয়ার পর যেন নতুন করে হাঁটতে শিখেছি, সোজা হয়ে শিখেছি বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। বসে থাকতেও কষ্ট হত। বাচ্চা কাঁদলেও বেশিক্ষণ কোলে নিয়ে রাখতে পারতাম না যেন। তাই আমার মনে হয়েছে ডেলিভারির পদ্ধতি কোনোটাই পেনলেস নয়।
Leave a Reply