মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন

পুলিশ কর্মকর্তার কথিত স্ত্রীর দাপটে অতিষ্ঠ আশুলিয়ার এলাকাবাসী

মোঃ নাসিম খান, স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪
  • ২৩৮ Time View

সাভারের আশুলিয়া থানাধীন গাজীরচট এলাকায় একজন সুনামধন্য পুলিশ কর্মকর্তার কথিত স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীর আধিপত্য বিস্তার ও দাপটের প্রভাবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।

বিয়ে বানিজ্য তিনি এলাকায় জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেস্টায় আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানান এলাকাবাসী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ভূক্তোভোগি জানান, অভিযুক্ত সালমা আক্তার (৪৫) মধ্যে গাজীরচট এলাকার পিকআপ ড্রাইভার মোঃ শাহাজান মিয়ার মেয়ে। তার নিজের আয়ের উৎস না থাকলেও, কয়েক ডজন বিবাহের মধ্যে দিয়ে সে কোটিপতি বনে যায়।

আশুলিয়ার গাজিরচট, ডিওএসএস ও ঢাকার শান্তিবাগ এলাকায় বেশ কয়েকটি আলিশান ফ্লাট বাড়ির মালিকসহ বিপুল বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন তিনি। গত দুই যুগ আগে কাঠগড়া এলাকায় মোঃ হান্নানের সাথে বিবাহ হয় সালমার, সে ঘরে দুইটি সন্তান থাকা অবস্থায় স্বামীকে তালাক দেয় সে। এরপর ধামরাই এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করে সালমা আক্তার।

কিছুকাল পরে সে ঘরে এক মেয়ে থাকা অবস্থায় তাকে তালাক দিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মনিরকে বিয়ে করে। এর কিছুকাল পরে কাতার প্রবাসী ওবায়দুর রহমানকে বিয়ে করে সালমা। এছাড়াও ভিডিও কলের মাধ্যমেও তার বিরুদ্ধে একাধিক বিবাহের অভিযোগ রয়েছে।

বিগত সকল স্বামী তালাকের সাথে সাথে তাদের অর্থ সম্পদ, জমি- ফ্লাট প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় সালমা এবং তার হাতে আসে বিশাল পরিমান সম্পদ ও কালো টাকার পাহাড় । তার কিছুকাল পর এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বিয়ের দাবি করে সালমা, মূলত এর পর থেকেই সে ক্ষমতার লোভে বেপরোয়া হয়ে উঠে ।

তার রাজনৈতিক কোনও পদ পদবী না থাকলেও, কালো টাকার গরমে সে এখন জনপ্রতিনিধি হওয়ার নেশায় বড় বড় রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করছেন। প্রবাদ আছে ঘটি ডুবে না, নাম তার তাল পুকুর। সালমা জীবনভর বিয়ে-শাদীর রাজনীতিতে জড়িত ছিলো। যার জনপ্রিয়তা শুন্যের কোঠায়। সে বর্তমানে জনপ্রতিনিধি হওয়ার নেশায় এবং নিজের আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তাতে এলাকার ত্যাগী সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এ ধরনের ব্যক্তিরা যদি জনপ্রতিনিধি হয় তাহলে সমাজের চিত্র কি হতে পারে তা অকল্পনীয়। স্থানীয়রা আরও জানান,সালমা ওই পুলিশ কর্মকর্তার প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক আধিপত্য বিস্তার ,প্রতিবেশীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে এলাকার মানুষদের হয়রানীর মাধ্যমে জিম্মি করতে চাইছে ।

এক কথায় সে রাম রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে এসব ঘটনায় এলাকার মানুষেরা সরাসরি তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না। ভূক্তভোগিরা ঐ ভয়ংকর নারীর কবল থেকে দেশ এবং সমাজকে বাচাঁতে প্রশাসন ও দূর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা মনে করেন দূদক সঠিকভাবে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল, সেইসাথে দেশবাসী জানতে পারবে আশুলিয়ার পাপিয়া খ্যাত সালমার অঢেল সম্পদের মালিক।

তারা আরও অভিযোগ করে জানান, সালমা গংরা ক্ষমতার দাম্ভিকতায় দীর্ঘদিন যাবৎ আমার সাথে শত্রুতা সৃষ্টির পায়তারা করে আসছে। সালমা বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার হীন মানসিকতায় আমার নামে আপত্তিকর কথাবার্তা পোস্ট দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে ।

তাতে করে আমি বিব্রতবোধ সহ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। গত ০৪/০৩/২০২৪ তারিখ বিকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালমা এবং আমার স্ত্রী সন্তানদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তখন সালমা ও তার লোকজন গালি-গালাজসহ আমার পরিবারের সাথে মারমুখী আচরণ করে।

সেইসাথে ফোন করে তার সমর্থকদের জড়ো করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এরপর তাহারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা করে জেল খাটাবে এবং আমাদের দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। তার সাথে কতিপয় বখাটে, সন্ত্রাসীদের সাথে সক্ষতা রয়েছে, সালমা গংরা খুব খারাপ প্রকৃতির মানুষ। সালমা নিজের কু- স্বার্থ চরিতার্থ করতে যা খুশি তাই করতে পারে। আমি আতংকিত হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category