সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আগৈলঝাড়া রামশীল খাল থেকে নিখোঁজ হওয়া ১৮ মাসের বাঁচ্চার ভাসমান লাশ উদ্ধার নড়াইলে মাইজপাড়া ও কলোড়া ইউপি নির্বাচন-২০২৪ এর ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার গরমে স্কুল বন্ধ রাখায় মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নড়াইলে নবনির্মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন উদ্বোধন করলেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী পবা সাব রেজিস্ট্রারের ঘুষ বানিজ্যের হাতিয়ার রনি-নাদিম সিন্ডিকেট এক পশলা বৃষ্টি চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শতাধিক মুসল্লি জাতির পিতার সমাধিতে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার প্রচেষ্টা আছে সরকারের : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান আন্তজার্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশ পুলিশ আর্চারি ক্লাবের স্বর্ণ জয়

মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের পরিছন্নকর্মীর ডেলিভারিতে গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ

মো. আহাদুজ্জামান, মাদারীপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৯৫ Time View

পরিছন্নকর্মীর ডেলিভারিতে মাদারীপুরের কালকিনিতে মোসা. রহিমা বেগম(৩২) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সাহেবরামপুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তবে হাসপাতালে ডাক্তার উপস্থিত না থাকায় ওই গৃহবধুর নরমাল ডেলিভারি করেছেন পরিছন্ন কর্মী উম্মে রহিমা বিজলী। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।

এলাকা ও ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের ক্রোকিরচর গ্রামের মো. জুয়েল ঘরামীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোসা. রহিমা বেগম গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরলে সাহেবরামপুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে কোন কর্তব্যরত ডাক্তার উপস্থিত না থাকায় বুধবার গভীর রাতে শিশু কল্যান কেন্দ্রের পরিছন্ন কর্মী উম্মে রহিমা বিজলি ও বিজলির স্বামী নৈশ্য প্রহরী আরিফুর রহমান মিলে ওই গৃহবধুর নরমাল ডেলিভারি করেন। এতে করে ওই গৃহবধু অসুস্থ হয়ে পরেন। পরে তাকে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।

ভূক্তভোগীর স্বামী মো. জুয়েল ঘরামী কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোসা. রহিমা বেগম অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নিয়ে যাই। সেখানে কোন ডাত্তার না থাকায় সেখানের পরিছন্ন কর্মী উম্মে রহিমা বিজলী ও বিজলীর স্বামী নৈশ্য প্রহরী আরিফুর রহমান মিলে নরমাল ডেলিভারি করেন। আমরা এখানে নিয়মিত ডাক্তার চাই। ডাক্তার থাকলে আমার স্ত্রী মারা যেত না।

অভিযুক্ত পরিছন্ন কর্মী উম্মে রহিমা বিজলী ও বিজলীর স্বামী নৈশ্য প্রহরী আরিফুর রহমান বলেন, এখানে ডাক্তার না থাকায় আমরা ওই গৃহবধুর নরমাল ডেলিভারি করেছি। আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শীকা নুপুর বেগমকে ফোন দিলে তার নাম্বার বন্ধ পেয়েছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শীকা নুপুর বেগম বলেন, আমার সপ্তাহে দুইদিন সেখানে ডিউটি রয়েছে। তাই আমি সেখানে উপস্থিত থাকিনি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুল্লাহ আকিব বলেন, পরিছন্ন কর্মী ও নৈশ্য প্রহরীর ডেলিভারি করার বিষয়টি জেনেছি। তবে গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটননা দুঃখ জনক।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category