রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

ইন্দোনেশীয় তরুনীর সাথে শিবচরের যুবকের জাঁকজমক বিয়ে

মাদারীপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৭৯ Time View

ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। কাজের সুবাদে এই তরুনীর সাথে সিঙ্গাপুরে পরিচয় হয় বাংলাদেশী তরুণ শামীম মাদবরের। ইন্দোনেশীয় তরুনীর সাথে সিঙ্গাপুরে থাকা অবস্থাতেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে!

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামের শামীম মাদবরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ইন্দোনেশীয় তরুনী ইফহা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিঙ্গাপুর থেকে গত জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখে বাড়ি আসেন শামীম মাদবর। বাড়িতে এসে বিদেশী তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের কথা পরিবারকে খুলে বলেন।

ভীনদেশী তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছা পরিবারের কাছে বলেন। অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। শামীম মাদবরের পরিবার স্বানন্দে গ্রহন করেন ওই তরুণীকে। শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) জাঁকজমক ভাবে অনুষ্ঠিত হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। সালমা আক্তার নামে শামীম মাদবরের নিকটাত্মীয় বলেন,’ ইফহা ইন্দোনেশীয় তরুণী হলেও কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে থাকেন।

তবে ওর পরিবার ইন্দোনেশীয়া থাকেন। আমাদের শামীম সিঙ্গাপুর থাকেন প্রায় ৬ বছর ধরে। ওখানে থাকা অবস্থাতেই ইফহার সাথে শামীমের পরিচয়। বাড়িতে ছেলের পরিবার প্রথমত বিয়েতে মত না দিলেও পরে সবাই রাজি হয়। মেয়ের পরিবারের সাথেও আমরা কথা বলেছি।

তারাও রাজি। পরে গত ১৭ তারিখে ইফহা বাংলাদেশে আসে।’ প্রতিবেশীরা বলেন,’বিদেশী মেয়ের সাথে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মেয়েকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করে।’ শামীম মাদবরের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন,’বিদেশী মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সাথে কথা বলেছি।

তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কিছুদিন পর বিদেশী মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। এক সাথে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।

শামীম বলেন,’আমরা পরস্পরকে ভালোবাসি। এ বিয়েতে আমার খুশি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের পরিচয় হয়। পরে দেখা-সাক্ষাত। সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। এক পর্যায়ে আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। প্রথমে কারো পরিবারই মেনে নিতে রাজি হয়নি। পরে তারা মেনে নিয়েছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category