আশুলিয়ার নরশিংহপুর বুড়ি পাড়া রোড নবী সরকার প্লাজা নামে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলছে দীর্ঘ প্রায় আট মাস। আন্ডার গ্রাউন্ডে জমে আছে পানি।
পানি নিশঙ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তৈরী হচ্ছে লাভা, জন্ম নিচ্ছে এডিস মশা, আশঙ্কা রয়েছে ডেংগু চিকন শুনিয়ার মতো মারাত্মক ক্ষতিকর রোগের ।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়ঃ নির্মাণাধীন ভবন নির্মাণেও নেওয়া হচ্ছে না বিল্ডিং কোড আইন, বিশাল এই আন্ডারগ্রাউন্ডে নিচতলায় পানি জমিয়ে তৈরী করছেন লাভা বা মশা তৈরীর কারখানা ।
সরজমিনে মালিক পক্ষ কাউকে না পাওয়া গেলেও সংবাদ কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে চলে আসেন এক ব্যক্তি।
প্রথমে তার ভাব দেখে মনে হয় তিনি হয়তো উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক।
,কিন্তু সংবাদ কর্মীদের পরিচয় পাওয়া পর জানা যায় তিনি এই প্রতিষ্ঠান পাহারার সিকিউরিটি গার্ড।
বিল্ডিং এর নিচে পানিতে মশা তৈরী হচ্ছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি শিকার করে বলেন, মালিক পক্ষের অনুমতিতে মশা নিধন ঠেকাতে আমি সাপ্তাহে এক দিন কেরোসিন তৈল ও বিলি সিং পাউডার দেই।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই প্রতিষ্ঠানের মালিক কয়েক জন, তারা হলেন, মোঃ বাবু সরকার, পিতা রশিদ সরকার মোঃ মোসাদ্দেক সরকার, পিতা সহিদুল্লাহ সরকার। ও আব্দুর রাজ্জাক। আপনারা কথা বলতে চাইলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন 01796 526677 তার দেওয়া উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করলে বাবু নাম পরিচয়ে এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে নির্মাণাধীন কাজ সমস্যা জনিত কারনে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। পানি জমিয়ে এডিস, ডেংগু, মশা তৈরীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন
পানি নিশঙ্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় মশা নিধন ঠেকাতে পানিতে কেরোসিন ও বিলি সিং পাউডার দেওয়া হচ্ছে।
বিলি সিং পাউডার ও কেরোসিন দিয়ে কি মশা নিধন ঠেকানো সম্ভব জানতে চাইলে তিনি ফোনটি রেখে দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়ঃ উক্ত প্রতিষ্ঠানের মুল মালিক আশুলিয়ার ইয়ারপুর এলাকার সরকার বাড়ির বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, মোঃ দেলোয়ার সরকার।
এলাকা বাসী জানানঃ যেখানে সরকার ঘোষিত এডিস মশা নিধন ঠেকাতে পানি তিন দিনের বেশি কোন পাত্রে জমা রাখা যাবেনা সেখানেই তারা মাসের পর মাস পানি জমিয়ে এডিস মশার তৈরী করে আসছেন। আমরা এলাকা বাসী ডেংগু ও চিকনগুনিয়া রোগের আতংকে বসবাস করছি। এরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এই কাজ গুলো করছেন।
তিনি বিএনপির নেতা হওয়ায় বিভিন্ন মামলার আসামি ও সম্পর্তি অস্র তৈরী মামলার আসামি, হয়ে বর্তমানে ঢাকার উত্তরায় তার বসবাস । এ বিষয়ে তাদের নেই কোন খেয়াল। এলাকা বাসীর দাবি
উপরোক্ত বিষয়ে দায়িত্ব পাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদিষ্টি গ্রহণেই, এডিস মশার হাত থেকে বাঁচতে পারে এলাকার সাধারণ মানুষ।
Leave a Reply