এক প্রবাসীর টাকা পয়সা,গহনা, বাড়ির ফার্নিচার এমনকি জমি বন্ধক রেখে টাকা নিয়ে বাবার বাড়িতে গিয়ে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে সুমি খাতুন নামের এক গৃহবধূ।
সুমি খাতুন পাবনার সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পাটোয়া গ্রামের আমজাদ মন্ডলের মেয়ে।ভূক্তভোগি সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ছকির উদ্দিন খানের ছেলে কে এম আব্দুর রহিম।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,২০০৮ সালে সুমির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।স্ত্রী ও ছেলের ভবিষ্যত চিন্তা করে ২০১৪ সালে ৪ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান, মালয়েশিয়া যাওয়ার কিছু দিন পরে ঐ দেশে অবৈধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ৫ বছর অনেক কষ্ট করে লুকিয়ে লুকিয়ে কাজ করে বিভিন্ন ভাবে টাকা পাঠিয়েছি।
সেই টাকায় আমার স্ত্রী তার গহনা বানিয়েছে, বাড়ির ফার্নিচার বানিয়েছে, আমার ফসলী জমি বন্ধক রেখে টাকা নিয়েছে,৫ বছর ধরে সংসারের খরচ বহন করেছি, এছাড়াও গুচ্ছিত প্রায় ৫ লাখ দিয়েছি। আমার স্ত্রী বিদেশ থেকে আসার কথা শুনে সবকিছু নিয়ে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করে।
দেশে আসার পর স্ত্রী সুমি বিভিন্ন তাল বাহানা করে প্রায় দেড় বছর আমার ছেলে কে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে থাকে। টাকার কথা বললে সুমি কৌশলে এখানে ওখানে রাখা আছে,এটা ওটা কিনেছি বলে তাল বাহানা শুরু করে।
টাকার জন্য প্রেসার দিলে গত ২৪ জুন ২০২১ ইং তারিখে সুমির সাক্ষরিত পাবনা পৌরসভার কাজির একটি তালাকের নোটিশ ধরিয়ে দিয়ে বলে তোমার সাথে সংসার করবো না। এখন থেকে তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
আমার একটি মাত্র সন্তান পড়াশোনা বাদ দিয়ে ওয়ার্কসপের কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। স্ত্রী, সন্তান ও টাকার শোকে আব্দুর রহিম মানবতার জীবন যাপন করছে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিচারের দাবি করেন।
Leave a Reply