কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বিশাল আকারের ১টি গরু প্রস্তুত করেছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের মৃত আরজ আলি বিশ্বাসের ছেলে আমিরুল মেম্বার।
ভালোবেসে গরুটির নাম রেখেছেন ব্লাক কাউ। দুই বছর আগে গরুটি কেনেন আমিরুল। অল্প অল্প করে টাকা বিনিয়োগ করে কোন রকম কীটনাশক বা ক্ষতিকর কিছু ছাড়াই শুধু গমের ছাল ও বিচিলি খাওয়ায়ে পারিবারিক আদলে গরুটিকে মোটাতাজা করেন তিনি।
উদ্দেশ্য, কোরবানির ঈদে বিক্রি করে একবারে হাতে টাকা পাওয়া ও কিছু লাভের আশা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে গত কোরবানীর ঈদে সঠিক দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারেনি গরুটি। বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশেই একটা অস্থিরতা বিরাজ করছে।
এর প্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গরুর সব রকম খাদ্যের দাম। এমন অবস্থায় গরুটি বাজারে নিতে পারবেন কিনা, বাজারে নিলেও ক্রেতা মিলবে কিনা, ক্রেতা মিললেও দাম পাওয়া যাবে কিনা এসব নানা বিধ বিষয় নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে আমিরুল মেম্বার। তবে আসছে কোরবানীর ঈদে যেভাবেই হোক গরুটি বিক্রি করতে চান তিনি।
গরুর মালিক আমিরুল মেম্বার বলেন, গত দুইবছর ধরে গরুটি আমি ও আমার পরিবারের সবাই সন্তানের মতো করে লালন পালন করেছি। গরুটির খাবার বাবদ প্রতিদিন খরচ হয় ৮শত টাকা। বাড়ী থেকে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে গরুটি বিক্রি করতে চান তিনি। আমিরুল আরো বলেন, গতবছর ৮লক্ষটাকা দাম হয়েছিল গরুটির।
বর্তমানে ব্লাককাউ গরুটি আরো বড় হয়েছে। এতে প্রায় ৩২মন মাংশ হবে বলে দাবী করে গরুটি ২০লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে চান তিনি। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কোন রকম কীটনাশক বা ক্ষতিকর কিছু ছাড়াই মাঠের ঘাস ও স্বাভাবিক খাবার খাওয়ায়ে সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধিতিতে কুষ্টিয়ার খামারীরা গরু লালন পালন করেন।
সে কারনেই ঢাকা-চিটাগাংসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কুষ্টিয়ার গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এই অঞ্চলে এখনো বেড়েই চলেছে। তাই এখানকার খামারীদের গরু অন-লাইনের মাধ্যমে বিক্রির পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। চাষীরা এবার সঠিক দাম পাবেন বলেও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
Leave a Reply