বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন

দামুড়হুদার ডুগডুগী ও তারিনী পুর মাঠে ৩০জন পার্টনারে জুয়া খেলা জমজমা:পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা

 হাফিজুর রহমান
  • Update Time : বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৩১ Time View

দামুড়হুদার ডুগডুগী ও তারিনী পুর মাঠে ৩০জন পার্টনারে জুয়া খেলা জমজমাট:পুলিশ প্রসাশন, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে তিন লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ রাজুর, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকা বাসী।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগী ও তারিনীপুর মাঠে ৩০জন পার্টনারে জুয়া খেলার রমরমা চলছে। ডুগডুগী গ্রামের হাউলী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্যর ভাই রাজু আহাম্মেদ পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

এ রাজুর পকেটে থাকে পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক ও রাজনৈতিকনেতারা।এত বড় সাহস আসে কোথায় থেকে এই রাজুর।এলাকার প্রভাব খাটিয়ে চলাফেরা করায় তার বিরোধে কেউ মুখ খোলে না ভয়ে।

কে এই রাজু? কিভাবে জুয়া খেলা হয় সবই তুলা ধরা হলো । স্থানীয় থেকে জানাযায়,কে এই রাজু ? দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগী গ্রামের মৃত নজর আলির ছেলে রাজু।রাজু পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিন নাম্বার।

সে লেখাপড়া শিখতে না পারায় ডুগডুগী বাজারে কুলির সর্দার হিসাবে বেশ কয়এক বছর ধরে কাজ করে।এ সুবাধে বিভিন্ন এলাকার জুয়াড়িদের সাথে পরিচয় হয়।

বছর সাতেক আগে তার ভাই পটু মেম্বারের তত্বাবধানে চলে ফড়গুটির জুয়া খেলা।তাতে বাধ সাধে র‌্যার ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ।পন্ড হয়ে যায় ফড়গুটি খেলা।

এবার রাজুর নিজ তত্বাবধানে ১৫ দিনে কন্টাকে খেলা শুরু করে। পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক ও রাজনৈতিকনেতাদের ঠেকাতে ১৫ দিন খেলা করতে হলে ৯০ হাজার টাকা দিতে হবে রাজুকে।

তাহলে সবাইকে রাজু ম্যানেজ করে নিবে।এ ভাবে ৬০ দিন খেলা করানোর নাম করে ৩লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে রাজু। এদিকে ৩০দিন খেলা হবার পর দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ বার বার অভিযান চালালে খেলা বন্ধ হয়ে যায় জুয়া খেলা ।

এতেই বেরিয়ে আসে সব তথ্য। আগে থেকে টাকা নেওয়ায় জুয়াড়িদের থেকে চাপ আসতে শুরু করে রাজুর উপর । পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের টাকা দেওয়া হয় তাহলে খেলা বন্ধ হবে কেন।

দুই তিন দিন রাজু এবং জুয়াড়িদের মধ্যে ঝামেলা হতে থাকলে।গত ১৪ই এপ্রিল থেকে আবার আগের মত শুরু হয় রাজুর দায়িত্বে জুয়া খেলা।সচেতন মহললের প্রশ্ন তাহলে কি রাজু সকলকে ম্যানেজ করেই খেলা শুরু করলো।

রাজুর এত শক্তি পেলো কোথায়? তাহলে কি এ জুয়া খেলা বন্ধ হবে না । এ খেলার নেপথ্য যারা আছে তার হলো বিভিন্ন এলাকার ৩০ জনের একটি টিম।আটটি স্থান ভাগ করে খেলায় বসে।

তাদের প্রত্যেক টিমের জন্য এক জন করে পাহারাদার থাকে তাকে দিতে হয় ৩শত টাকা করে। স্কুল পড়ুয়া ছেলেদেরকে তারা পাহারাদার হিসাবে ব্যবহার করে থাকে ।

পুলিশ প্রশাসনের লোক জন দেখলে তার ফোন করে জানিয়ে দেই।তবে পুলিশ প্রশাসনের কথা মাথায় না রেখে তারা নির্বিঘ্নে খেলা করে যায়।কারণ তা ম্যানেজ করার দায়িত্ব এ রাজুর।

এবিষয়ে এজকজন খেলোয়ার জানান, আমরা খেলার লোক আছি মোট ৩০ জন সবার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে ১৬ দিনের জন্য মোট ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হয় রাজুর কাছে।

সবাইকে ম্যানেজ করার জন্য। এতে তার কাছে চার বারে মোট ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দিয়েছি রাজুর কাছে। জুয়া খেলার পরিচালক এই টাকা দিয়ে সকলকে ম্যানেজ করেছে। আর কোন সমস্য নাই।

আমরা নির্ভয়ে খেলা করি । এখন দেখছি এক টাকাও রাজু কারও দেয়নি। কারণ প্রত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে পুলিশ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাহলে এতো টাকা দেলে কার ? ।

তাহলে সব টাকা একাই মেরে খেয়েছে রাজু । তাই সচেতনমহলে দাবি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এ খেলা বন্ধ করে খেলার পরিচালক রাজুসহ সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসলে একদিকে বাঁচবে যুব সমাজ অন্য দিকে বাঁচবে প্রতিটি জুয়াড়িদের সংসার।ডুগডুগী এলাকায় বয়বে সু-বাতাস।

রাজুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আগে ডুগডুগী খেলা করা হতো কিন্তু হয়না ।আপনি আমার সাথে দেখা করেন।

আর দামুড়হুদার তিনজন বড় সাংবাদিকের টাকা দেওয়া হয়।যাতে তারা নিউজ না করে। হাউলী ইউনিয়নের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি ডুগডুগী জুয়া খেলা হয় তবে কোথায় হয় এবং কেনো বা কারা এ খেলা করে তা আমার জানা নেই।

হাউলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দীন বলেন, ডুগডুগী জুয়া খেলা হতো ।কিন্ত এখন হয় কিনা খোজ নিলে জানতে পারবো।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক স্থানীয় একজন জানান ,মাঝে কয়দিন পুরো দমে ডুগডুগী ও তারিনীপুর মাঠে খেলা চলছিল জুয়া খেলা।সপ্তাখানিক বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে এ জুয়া খেলা।

এতে উঠতি বয়সের ছেলেদের ৩শত টাকা হাজিরা দিয়ে পাহারায় রাখেন।এ যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সব ছেলেদের বাবা মা রা জানে না ছেলেরা কোথায় কি করছে।এর জন্য দায়ী রাজু ও য়ারা জুয়া খেলা করছে।

তাই অতি দুরত্ব জুয়া খেলা বন্ধ না করিলে যুব সমাজ অধ্যপতনে যাবে । দামুড়হুদা মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল খালেক বলেন,শুনেছি খেলা হয় ,পুলিশ এ দিক দিয়ে গেলে অন্যদিক দিয়ে পালিয়ে যায়।

কোন ভাবেই অনিয়ম এ জুয়া খেলা করতে দেওয়া যাবে না ।দরকার হলে পুলিশের একটি টিম ঐ মাঠে রাখা হবে।আর এ খেলার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category