সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদকে নিয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, সিন্ডিকেট গঠন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পদায়ন এবং নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে সুবিধা দেওয়ার মতো অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।
প্রতিবেদনগুলোতে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, তার পক্ষে কোনো দালিলিক প্রমাণ বা সরকারি নথি উপস্থাপন করা হয়নি। বাস্তবতা হলো—সরকারি ক্রয়বিধি (পিপিআর) অনুযায়ী যে কোনো প্রতিষ্ঠান দরপত্রের সব শর্ত পূরণ করে এবং সর্বনিম্ন দরদাতা হলে তাকে বাদ দেওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট সময়ের সব দরপত্র নির্ধারিত ১৪/২১/২৮ দিনের সময়সীমা মেনে e-GP পদ্ধতিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সম্পন্ন হয়েছে।
কিছু সংবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এআই-নির্ভর ছবি ও পোস্টকে তথাকথিত প্রমাণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, যেগুলোর সঙ্গে হারুন অর রশিদের পেশাগত দায়িত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। এসব উপাদান ব্যবহার করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে এবং মনে করানো হয়েছে যে তিনি সরকারি প্রকল্পে অনিয়মে জড়িত—যার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
এছাড়া তার রাজনৈতিক পরিচয় বা ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়েও কোনো প্রামাণ্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। একইভাবে মহামান্য প্রধান প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে যে সিন্ডিকেট বা দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত। কোনো প্রশাসনিক তদন্ত বা আইনগত প্রক্রিয়ায় হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের অস্তিত্ব নেই।
সংবাদে প্রকল্পের সংখ্যা, অর্থের পরিমাণ ও সময়সীমা সম্পর্কিত তথ্যও বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনসাধারণের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি করছে এবং একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তার পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। এসব প্রতিবেদনের পেছনে প্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্ব বা রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করছে কি না—সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এই ধরনের যাচাইবিহীন ও উস্কানিমূলক সংবাদ প্রকাশের ফলে সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর অযাচিত চাপ সৃষ্টি হয় এবং জনআস্থার ক্ষতি হয়। হারুন অর রশিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার পেশাগত ও ব্যক্তিগত সম্মান ক্ষুণ্ণ করায় সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সবার প্রতি আহ্বান—সংবাদ প্রকাশের আগে তথ্যের সত্যতা যাচাই করুন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপ্রমাণিত উপাদানকে সংবাদ হিসেবে উপস্থাপন করবেন না এবং সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ বজায় রাখুন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করা হচ্ছে যে, হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা শুধু একজন ব্যক্তির নয়—বরং সরকারি ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
মন্তব্য করুন