লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ও লোকবল সংকটে রেণু পোনা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। জনবলের ৮২টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ৫৯টি। উৎপাদন কমেছে হ্যাচারিরও।
সংস্কারের অভাবে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ভবন ও যন্ত্রাংশ। চাহিদা মতো পোনা না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে মৎস্য চাষিদের। অবশ্য কেন্দ্রটি সংস্কারে আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৮২টি পদের মধ্যে আছেন মাত্র ২৩ জন। তিনজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নেই, শূন্য রয়েছে দক্ষ ফিশারম্যান পদও।
এছাড়া পানি ও বিদ্যুৎসহ সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামোগত সংস্কার না হওয়ায় কেন্দ্রটিতে রয়েছে নানা সংকট।
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মৌসুমের বেশিরভাগ সময়ে এখানকার ৭৫টি পুকুরের মধ্যে পানি শূন্য থাকে ২১টি। পাড় ভেঙে গেছে ৪০টি পুকুরের। নাব্য সংকট ও তীব্র তাপে মারা যাচ্ছে রেণু পোনা ও ব্রুড মাছ। কমে গেছে হ্যাচারির কার্যক্রমও। চাহিদানুযায়ী রেণু পোনা পাচ্ছেন না মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, উনারা আগের মতো রেণু দিতে পারছেন না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তাদের রেণু নিতে হয়।
সীমিত জনবল দিয়ে চাহিদামাফিক রেণু পোনা উৎপাদনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার। তিনি জানান, অধিকাংশ পুকুরই ভরাট হয়ে গেছে। এই পুকুরগুলো খননে কাজ করা দরকার। হ্যাচারি বিল্ডিংয়ের অবস্থা খুবই খারাপ বলেও জানান তিনি।
মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটি আগের অবস্থায় নিতে নানা পদক্ষেপের কথা জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তিনি বলেন, আধুনিকায়ন করার জন্য একটি প্রকল্প ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। এবং তা মন্ত্রণালয়ে জমা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে উন্নত জাতের রেণু পোনা উৎপাদন ও মৎস্য চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৮২ইং সালে যাত্রা শুরু হয় সরকারি এ মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের।
Leave a Reply