আমার মায়ের সাথে যুবলীগ নেতা কামালের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে এই অপবাদে প্রায় একমাস যাবৎ প্রতি দিনই বাসায় এসে বিশ্রি ভাষায় গালিগালাজ করতেন তার স্ত্রী সিমা।শেষের দিকে অফিসিয়াল ভাবে চাপ প্রয়োগ করে অন্যায় ভাবে মাদারীপুর হতে নারায়নগঞ্জে বদলি করা হয়েছিল মাকে।
আমাদের ভাড়া বাসা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্যও চাপ প্রয়োগ করেছিলো সিমা।আত্মহত্যার রাতে নারগিস আক্তার সিমা আমাদের বাসায় এসে মা’ক চরিত্রহীন বলে গালিগালাজ করে।
এর কিছুখন পরই মা বাসায় দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।এটা আত্বহত্যা নয় অবশ্যই এটি একটি হত্যাকান্ড কেদে কেদে সাংবাদিকদের কে এমনটাই জানান মৃত্যের মেয়ে জুই।এসময় জুই তার মায়ের মৃত্যুর বিচার দাবী করেন।
তবে মায়ের আত্মহত্যার বিচার চাওয়ার পর পরই জুই কে তার নানাবাড় তে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।মৃত মুক্তা বেগম(৩০) মাদারীপুর খাদ্য বিভাগে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
মৃতের মেয়ে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় , মাদারীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির একজন নারী কর্মী ছিলেন মুক্তা বেগম। তিনি শহরের একটি ভাড়া বাসায় তার পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। একই এলাকার যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনের সাথে মুক্তা বেগমের স্বামীর সাথে বন্ধুত্ব থাকায় তাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে আশা যাওয়া করতেন মা।
এ বিষয়টি নিয়ে কামাল এর স্ত্রী নারগিস আক্তার সিমা সন্দেহ করেন তাদের মাঝে একটি অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে মুক্তা বেগমকে মাদারীপুর থেকে বদলি কারানোর জন্য বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ দেন কামালের স্ত্রী সিমা। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তাকে মোবাইলে হুমকি ধামকি সহ বিভিন্ন ধরনের বাজে মন্তব্য করে আসছিল নারগিস আক্তার। নারগিস আক্তার তাদের ভাড়া বাসা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্যও চাপ প্রয়োগ করেছিলো।
গত শনিবার রাতে নারগিস আক্তার মুক্তার বাসায় গিয়ে তাকে চরিত্রহীন বলে গালিগালাজ করে। এরপর পর রাতেই মুক্তা বাসায় দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত করে রোববার দুপুরে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
নিহত মুক্তা আক্তারের পরিবার অভিযোগ করে আরো জানান, কামাল হোসেনের স্ত্রী নারগিস আক্তার সীমা বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগে দেয়ার পরই জেলা খাদ্য বিভাগ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটি প্রদান করা হয় চরমুগরিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল আমিনকে। অন্য সদস্যরা হলেন- মাদারীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের প্রধান অফিস সহকারী আব্দুর রাজ্জাক, উপ খাদ্য পরিদর্শক শিপন মিয়া। পরে তদন্ত কমিটি তদন্ত ছাড়াই মুক্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রদান করে বলে অভিযোগ করেন মুক্তার পরিবার।
এ ব্যাপারে উপ খাদ্য পরিদর্শক শিপন মিয়া বলেন, শনিবার রাতে নারগিস আক্তার গিয়ে মুক্তাকে গালিগালাজ করে। এরপরই আত্মহত্যা করেছে। আমরা ধারণা করছি গালগালাজ করার কারণেই আত্মহত্যা করেছে।
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি পৌর যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন কে।মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল হাসান মিয়া বলেন, এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
Leave a Reply