শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৮:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পানি উন্নয়নের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মান, সরেজমিনে পানি উন্নয়ন কর্মকর্তা ব্যক্তিগত ব্রান্ডিং উন্নয়নের লক্ষ নিয়ে ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আর্ট অফ লিভিং প্রজেক্ট বাস্তবায় গোপালগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের খুনিদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন হিন্দুদের নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন লোহাগড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন স্থগিত লোহাগড়ায় বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ট্রাকের চাপায় ১ জন নিহত ছয়তলা ভবন থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী র‌্যাব-৮ কর্তৃক গ্রেফতার ক্লাস চলাকালীন বিদ্যালয়ে আগুণ! পুড়ে গেছে দুটি শ্রেণীকক্ষ

করোনায় মৃত নারীকে গোসল দিতে কেউ এগিয়ে না আসায় গোসল দিলেন ইউএনও

আহসান হাবীব, স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১
  • ৬০ Time View

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পল্লী অঞ্চলের রিনা বেগম (৫৫) নামে এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কিন্তু করোনায় মৃত্যু হওয়ায় তাকে গোসল ও কাফনের কাপড় পড়াতে কেউ এগিয়ে যায়নি। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় ওই নারীকে দাফনের জন্য গোসল করান ও কাফনের কাপড় পরান।

জানা যায়, উপজেলার কুশাহাটা গ্রামের রিনা বেগম ও তার স্বামী মোতালেব হোসেন প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত মঙ্গলবার রিনা বেগমের অবস্থা গুরতর হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৩টায় তার মৃত্যু হয়।
এরপর মৃত রিনা বেগমকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। মুসলিম নারীকে মৃত্যুর পর ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে গোসল ও কাফনের কাপড় পরাতে হবে। কিন্তু কেউ এতে রাজি হচ্ছিল না।
খবরটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন জানতে পারেন। তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রিনা বেগমকে গোসল করান। পরে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় ১৫ জন লোক অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন ও জোড়গাচা ইউপি চেয়ারম্যান রোস্তম আলী মন্ডল।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, আমি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি করোনায় মৃত এক নারীকে কেউ দাফনের জন্য গোসল ও কাফনের কাপড় পরাতে রাজি হচ্ছে না। ওই নারীর কোনো সন্তানও নেই। তখন আমি সেখানে গিয়ে গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরিয়ে দেই। এটা আমার মানবিক দায়িত্ব।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category