ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলা । এতে মহিলা সহ আহত অন্তত ৫ । গত বুধবার দুপুর অনু: ১২ টায় আশুলিয়ার চারাবাগ দক্ষিণপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী ইয়ামিন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো: ইয়ামিন (৪৪) বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনে বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন যাহার (নং- ২৫) তারিখ ১৪-০৫-২১) ইং ।
উক্ত মামলায় আসামীরা হলেন, আশুলিয়ার কুমকুমারী এলাকার মৃত শুকুর আলী মৃধার ছেলে মো: সফিক মৃধা (৩৫), চারাবাগ দক্ষিণপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে বশির (৪৫) ও আব্দুল বারেকের ছেলে আজিজুর রহমান (৩৫), কুমকুমারী এলাকার হাবু মৃধার ছেলে মনিম (২৫) ও মো: সোহান (২৮), কুমকুমারীর আতাউর রহমানের ছেলে মো: লিমন (২৬) ও শামছু মৃধার ছেলে তুহিন মৃধা (৩০)সহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জন।
উক্ত বিষয়ে জানতে শফিক মৃধার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি। মামলা সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী ইয়ামিনের সাথে মামলার আসামীদের ঝুট ব্যবসা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলছিলো ।
গত বুধবার ( ১২- ০৫-২১) দুপুরে ব্যবসায়ী ইয়ামিন তার বাড়িতে নিজ অফিসের সামনে ব্যবসায়িক মালামাল ডেলিভারির কাজ করছিলেন। এসময় আসামীগণ তাদের হাতে লোহার রড, সাবল, হামারসহ দেশিয় অস্ত্র-সস্রে সজ্জিত হয়ে অনাধীকার বাড়ীতে প্রবেশ করে এবং ইয়ামিন, তার স্ত্রী, শালিক,ড্রাইভার সহ ৫জনের উপর অর্তকৃত হামলা চালায় ।
এ সময় ১নং আসামী লোহার রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে হাতের আঙ্গুল ফাটিয়ে ফেলে । আত্মরক্ষায়র জন্য তার ফ্লাটে উঠলে আসামীরা ধাওয়া করে তার কক্ষে প্রবেশ করে ।
ইয়ামিন এর স্ত্রী আসামীদেরকে বাধা দিলে ১ ও ৪ নং আসামী তাকে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে নিলা ফোলা জখম করে এবং ৩ নং আসামী তার গলায় থাকা দেড় ভরী ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় ।
এছাড়াও বাদি ইয়ামিনের শয়ন কক্ষে ঢুকে ১ ও ২ নং আসামী স্টীলের আলমারির তালা ভেঙ্গে নগদ ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যায় । এসময় তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসতে থাকলে আসামীরা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় বাসার নিচে থাকা একটি প্রাইভেটকার ভাংচুর করে ।
এতে ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং গাড়ীর ড্রাইভার বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে । শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীক কাজে ব্যবহৃত কাভার্ডভ্যান ভাংচুর করেছে ।
এখানেও প্রায় ৬৫ হাজার টাকার ক্ষতি করেছে এবং গাড়ীর ড্রাইভার এমদাদুল হককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার কথাও বলেন ভুক্তভুগীরা । মামলার বাদি ইয়ামিন বর্তমানে সাভারের সীমা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার স্ত্রীর সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে ।
অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে প্রথমিক চিকিৎসাধীন রয়েছে। এলাকা বাসী জানান শফিক মৃধা ভাই বর্তমানে হত্যা মামলায় ২১বছর যাবৎ কারাগারে আছেন।
এরা আসলেই খারাপ প্রকৃতির লোক। উপরোক্ত বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী বাবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।
Leave a Reply