নড়াইলের লোহাগড়ার মেয়ে সুরাইয়া খানম অতুল হাসান নামের একটি ছেলেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবাহ করার আশ্বাস দিয়ে নগদ অর্থ ও অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রী আত্মসাত করে, বিবাহ করেছে সেনা সদস্য ছামিউল নামের চাচই গ্রামের ছেলেটি কে। অতুল হাসান কর্তৃক অভিযোগ সূত্রে ঘটনাটি জানা যায়।
অতুল হাসানের অভিযোগের ভিত্তিতে আরো জানা যায় যে সুরাইয়া খানম ও অতুল হাসানের সাথে দীর্ঘ ১ বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । এবং তার ই সূত্র ধরে মেয়ের বাবা মা ঐ ছেলের সাথে পরিচিত হন এবং দুই পক্ষের গার্জিয়ানদের মধ্যে কথা বার্তা ও আলোচনা হয়।
অতুল ও সুরাইয়ার ভালো বাসার কথা চিন্তা করে মেয়ের বাবা মা ও ছেলের গার্ডিয়ানদের সাথে আলোচনা মধ্যে দিয়ে বিবাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
মেয়ের বাবা নুর ইসলাম (অব:আর্মি) ও মেয়ের মা জেসমিন দুই জন মিলে অতুল হাসানের সাথে তাদের মেয়ে সুরাইয়া কে বিবাহ দিবে বলে উভয় ফ্যামিলির মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানান অতুল হাসান ।
এবং তারই পেক্ষাপটে অতুলের সাথে নুর ইসলামের জামাই শশুর সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং এর ই সূত্র ধরে মেয়ের বাবা নুর ইসলাম অতুল হাসান থেকে নগদ ২০,০০০ টাকা গ্রহণ করেন, সাথে ২ জোড়া কবুতর আনু মানিক মুল্য ১৪০০ শত টাকা।
তার মেয়ে সুরাইয়া বিকাশের মাধ্যমে ১৬,৫০০ টাকা গ্রহণ করেন। ও অন্যান্য সময় একবার ১৫০০ শত টাকা আর একবার ২০০০ টাকা গ্রহণ করেন।
অতুল ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলেন যে আমার সাথে সুরাইয়া ও তার বাবা মা চিটিং বাজি করেছে। সুরাইয়া কে আমার সাথে বিবাহ না দিয়ে অন্য জায়গায় বিবাহ দিয়েছে।
এবং একটি বিশেষ সূত্রে জানা যায় যে,সুরাইয়া কে বিবাহ দিয়েছে তার বিবাহর বয়স হয় নাই। মেয়ের ও বিবাহর বয়স হয় নাই। ওটা বাল্য বিবাহ হয়েছে বলে জানা যায়, প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অতুল হাসান।
বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সরকার বারবার প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।তার পর ও যাহারা বাল্য বিবাহ টা দিয়েছেন তাদের কে ও কাজী কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
সুরাইয়া কে যার সাথে বিবাহ দিয়েছে লোহাগড়ার চাচই গ্রামের নবীন সৈনিক ছামিউল এর সাথে। মেয়ের বয়স ১৬ বছর, ছেলের বয়স সেনাবাহিনীর নিয়ম মোতাবেক হয় নাই।
৬ বছর চাকুরী নতুবা ২৪ বছর বয়স হতে হবে। তার কোন টা ই হয়নাই। অতুল হাসান অবশেষে বলেন আমার জীবন কে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সুরাইয়া ও তার বাবা মা, এর বিচার চাই। এবং আমার পাওনা টাকা ফেরত চাই।
Leave a Reply