রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রেসক্লাব টুঙ্গিপাড়ার সহ-সভাপতি মাহবুব বহিষ্কার নরসিংদীতে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পিছনে সরকারি গাছ কেটে জমি দখল করার অভিযোগ বগুড়ায় হাজী সম্মেলন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীতে গোসল করতে নেমে দুজনের মৃত্যু নাটোরের সিংড়ায় পুলিশের অভিযানে মটরসাইকেল উদ্ধার ও আটক ২ পানি উন্নয়নের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মান, সরেজমিনে পানি উন্নয়ন কর্মকর্তা ব্যক্তিগত ব্রান্ডিং উন্নয়নের লক্ষ নিয়ে ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আর্ট অফ লিভিং প্রজেক্ট বাস্তবায় গোপালগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের খুনিদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন হিন্দুদের নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন লোহাগড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন স্থগিত

করোনায় পত্রিকা ব্যবসায় ধস ভালো নেই মাদারগঞ্জের এজেন্ট সঞ্জু ও হকার রওশন

 সোহাগ হোসেন
  • Update Time : শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৩২ Time View

একসময় খুব ভালো ব্যবসা চলতো মানুষের তখন চাহিদা ছিল পত্রিকা পড়ার। তখন তারা পত্রিকা ব্যবসা করে স্বাভাবিক ভাবে তাদের জীবন চলতো। কিন্তু কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে তাদের একমাত্র উপার্জন ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। করোনা-লকডাউনে পত্রিকা কেউ কিনছে না।

এতে করে নিজ পকেট থেকে ভুর্তকি দিচ্ছে হচ্ছে তাদের। ১ বছরের অধিক সময় ধরে করোনা পরিস্থিতি থাকায় ব্যবসা ভালো না হওয়ার মানবেতর জীবন পার করছেন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার আকন্দ পেপার হাউজের কর্ণধার সঞ্জু আকন্দ ও হকার রওশন আলী।

পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন টিকিয়ে রাখা খুবই দূর্বীস্ব হয়ে পড়েছে তাদের। তাই বাধ্য হয়ে এ ব্যবসা ও পেশা থেকে সরে যাওয়ার চিন্তা করছে তারা।

জানা গেছে,প্রায় ২০ বছরের অধিক সময় এ কাজের সঙ্গে জড়িত এজেন্ট সঞ্জু। করোনা পরিস্থিতির আগে ভালোই চলছিল তাদের দিন।

কিন্তু কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের কারণে সব উলট-পালট হয়ে গেছে। একসময় ৫০০ কপি পত্রিকা বিক্রি হলেও এখন ১০০ কপি বিক্রি করতেই হিমশিম খেতে হয়।

ফলে লসের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এজেন্ট সঞ্জু আকন্দ বলেন, এভাবে আর কতদিন চলমু? বউ পোলাপান নিয়ে চলা কষ্ট হয়ে গেছে! মানুষ আর আগের মত পেপার কিনে না।

এজন্য নিজের পকেট থেকে আরও ভুর্তকি দিতে হচ্ছে। সরকারের তরফ থেকে যদি কোন সাহায্য সহযোগীতা পেতাম তাহলে বিশাল উপকার হত।

হকার রওশন আলী বলেন, সারাদিন সাইকেলে করে কষ্ট করে পত্রিকা বিক্রি করে যখন দেখি ২০০ টাকাও ইনকাম হয়নি,তখন এ পেশা ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করি।

করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকেই আমাদের আর আগের মত ব্যবসা নেই। খুব কষ্টে জীবন চলছে আমাদের। এ পর্যন্ত কোন ত্রাণ-সামুগ্রি ও পায়নি! সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া আমাদের দিকে যেন কিছুটা খেয়াল রাখে।

এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জাহিদুর রহমান তালুকদার উজ্জল বলেন,যারা খবর – পত্রিকা মানুষের কাছে পৌছে দেয় তারাই যদি কষ্টে দিন পার করে,এটি খুবই দুঃখজনক।

আমি মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করবো।তাদের যেন পাশে দাড়ায়।এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে অর্থনৈতিক সহযোগীতা করে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category