লক্ষীপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ও আজীবন সদস্য, জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি, সাবেক চেম্বার অব কমার্সের সাধারন সম্পাদক, কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক।
মহুরম এম.এ.মালেকের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী আগামী শুক্র বার ৯ই এপ্রিল। এই ছাড়াও তিনি মৃত্যু কালীন সময় পর্যন্ত জাতীয় দৈনিক ভোরের পাতার পত্রিকার ব্যুরো প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা বাসীর কাছে তিনি ছিলেন একজন প্রিয় মানুষ ও সাংবাদিকতা জগতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে কিংবদন্তি কলম সৈনিক। অতি সহজে সাধারন মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতেন তিনি।
ওনার ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী ৯ই এপ্রিল রোজ শুক্রবার দিন উনার নিজ গ্রাম লক্ষীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড সমসেরাবাদ গ্রামের হাজী চুন্নী মিয়া হাওলাদার জামে মসজিদে আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
মহুরমের বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন আপনারা সবাই আমন্ত্রিত । তিনি লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের দুইবারের নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্য ও আজকের বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নাজিম উদ্দিন রানা”র পিতা।
মরহুম এম এ মালেকের সাংবাদিকতা ও শিক্ষা জীবনী : প্রবীণ সাংবাদিক এম এ মালেক লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সদর উপজেলার সমসেরাবাদ গ্রামের হাজী চু্ন্নী মিঞা হাওলাদার বাড়ীর সভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি সমসেরাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন।
তার পরে লক্ষ্মীপুর মডেল হাইস্কুলে অধ্যয়ন কালে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় তার সাংবাদিকতার হাতে খড়ি। পরবর্তীতে চৌমুহনী এস এ কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক বাংলা, দৈনিক কিষাণে, দৈনিক দেশ বাংলায় লেখালেখি করেন এবং লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক আলচিশত ও দৈনিক লক্ষ্মীপুর কন্ঠ দীর্ঘদিন সম্পাদনের দায়িত্ব পালন করেন।
ষাট দশকের তুখোড় ছাত্র নেতা হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রদান করেন। মরহুম মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা টিটি কলেজ থেকে বিএড সমাপ্ত করেন।
দীর্ঘ ১৫বছর সিলেটের ছাতক এবং সাভারের দোসাইদ একে হাইস্কুলে পর্যায়ক্রমে প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বিএড অধ্যায়ন কালীন সময়ে ১৯৭৫-৭৬ সালে টিটি কলেজের ছাত্র সংসদ এর নির্বাচিত জিএস ছিলেন। তিনি সাংবাদিকতা জীবনে অসংখ্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা অংশগ্রহণ করেছিলেন।
Leave a Reply