ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা কোভিড ১৯ রোগের সংক্রমণ। চিকিৎসকদের মতে এটা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ, যার কারণ ভাইরাসের চরিত্র বদল ও বাইরের দেশ থেকে আগত ভাইরাস স্ট্রেন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ভারত সরকারের নির্দেশে শুরু হয়েছে টিকাকরনের কাজ।
৪৫ বছর বয়স উর্ধ্বদের জন্য চলছে সরকারি বেসরকারি স্তরে টিকাকরণ। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আবহে বিপুল রাজনৈতিক জমায়েতে সংক্রমণের সম্ভাবনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কাল ৭ ই এপ্রিল ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশেষজ্ঞদের মতে দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। লকডাউন চলাকালীন আমরা বুঝেছি যে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা কতখানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমরা কেউ পুনরায় লকডাউন চাই না, তাই নিজেদের সুস্থ রাখতে ও সংক্রমণের হার কমাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি আবশ্যক। তাই আজ রইলো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার কিছু টিপস।
দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাড়ান: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি পেলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে যা শরীরের কোষ গুলিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণ মরসুমী ফল ও সবজি খেলে দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি পায়। শরীরে ভিটামিন সির পর্যাপ্ত যোগান রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই লেবুজাতীয় খাবার প্রয়োজন।
ভেষজ ও মশলা: হলুদ, আদা , গোলমরিচ যা মূলত রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাদের ভেষজ গুণাগুণ অনেক। এছাড়াও দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
ঘুমের পরিমাণ বৃদ্ধি: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে ঘুমের ঘাটতি দেহকে দুর্বল করে এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়। তাই রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
পেট ভর্তি করে খাওয়া এড়িয়ে চলুন: পেট খালি রেখে খাবার অভ্যেস আবশ্যক। আগে খাওয়া খাবার হজম না হওয়া অবধি পুনরায় খাবার খাওয়ার অভ্যেস থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে দেহের ইমিউন সিস্টেম ঠিক মত কাজ করে।
শরীর চর্চা: নিয়মিত শরীর চর্চা অনেক শারীরিক সমস্যা লাঘব করে। নিয়মিত কমপক্ষে ৩০ মিনিট শারীরিক কসরত আবশ্যিক। প্রাণায়াম ও করতে পারেন।
সূর্যালোক: সূর্য শক্তির উৎস। সূর্য মানব শরীরে ভিটামিন ডি সংশ্লেষ করতে সাহায্য করে যার ফলে দেহের বিভিন্ন জীবাণু বিনষ্ট হয়। নিয়ম করে প্রত্যেক দিন কিছুক্ষণ সরাসরি সূর্যের আলোতে থাকুন।
Leave a Reply