ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলায় গরম বাতাস ও চৈত্রের তাপদাহে আগাম জাতের বোরো ২৮ ধান পুড়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ধান পেকে গেছে।
কৃষি অফিস যাকে বলছে ব্লাষ্ট রোগ। কৃষি অফিস বলছে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম ধানের এ রোগ দেখা দিয়েছে।
তাদের তথ্য মতে ধোবাউড়া উপজেলায় এ বছর ১৪ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। আবাদকৃত জমির ২৫ শতাংশই ব্লাষ্টে আক্রান্ত। গত আমন ধান নষ্ট হযেছে কয়েকদফা বন্যায়।
এখন বোরোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ যেন মরার উপর খারার ঘাঁ। অনেক কৃষক ঋন করে বোরো আবাদ করেছেন। বোরো ধান হঠাৎ ব্লাষ্টে আক্রান্ত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন তারা।
অনেকেই ধান ক্ষেতের পাশে কান্না করতে দেখা যায়। সরেজমিনে কথা বলতে গেলে ভূট্টা গ্রামের কৃষক নাজমুল হক, আব্দুর রশিদ, হামিদুল হক, দুলাল মিয়া, আতর আলী, রানীগাঁও গ্রামের আব্দুল কাদির, তাড়াইপাড় গ্রামের লিটন মিয়া জানান তাদের আবাদকৃত সমস্ত জমিই নষ্ট হয়ে গেছে।
তাদের অভিযোগ কৃষি অফিসের কোন লোক তাদেরকে সময়মত পরামর্শ দিতে আসেনি। এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব জানান, প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় সবজায়গায় সময়মত যাওয়া সম্ভব হয় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার জানান, এ এলাকার আবহাওয়া সহনশীল জাতের বোরো ধান আবাদ না করার কারণে এ রোগ হয়েছে। সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে ধানতো পুড়ছে না পুড়ছে কৃষকের কপাল।
Leave a Reply