মারুফ সরকার,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
শিশু দিবসের আনন্দ তো শিশুদের জন্যই। কিন্তু আমাদের চারপাশে এমন অনেক সুবিধাবঞ্চিত শিশু আছে যাদের শিশু দিবস কাটে জরাজীর্ণভাবে।
জীবনে থাকে না কোনো রঙিন উৎসব। এসব পথশিশুদের কাছে এবার শিশু দিবসের উপহার পৌঁছে দিয়েছে নোন-প্রফিট সংগঠন “ইয়ুথ নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন”।
আজ মঙ্গলবার (১৭ মে) সিরাজগঞ্জের রেলওয়ে স্টেশন কিছুসংখ্যক শিশু নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে জাতীয় শিশু উৎসব’।
এ আয়োজনে ” ইয়ুথ নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন” পরিচালনায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কেক কাটা, চকলেট বিতরণ, দই ও মিষ্টি, দুপুরের খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং করোনা সচেতনতামূলক জ্ঞান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়।
এছাড়াও সিরাজগঞ্জ পৌর শেখ রাসেল শিশু পার্কে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের খেলাধুলাসহ বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। কার্যক্রমটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ইয়ুথ নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন এর সদস্য দীপংকর ভদ্র দীপ্ত।
প্রসঙ্গত, গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় ফাউন্ডেশনটি। ‘ We For Change’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পথশিশুদের নিয়ে সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংগঠনটি পথশিশুদের জন্য রাজধানীর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের কার্যক্রম চলাচ্ছে।
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট কৌশিক কুমার গুহ জানান, “আমরা সমাজের পিছিয়ে পড়া অসহায়, এতিম ও ছিন্নমূল মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
এখনো অসংখ্য ছোট ছোট ছিন্নমূল শিশুরা শিক্ষা থেকে অনেক দূরে রয়েছে। পুষ্টিকর খাবারের অভাবে ভুগছে নানা রোগে। সমাজের অনগ্রসর এসব শিশুর মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়া ও পুষ্টিহীনতা দূরীকরণে নিরলসভাবে কাজ করছে আমাদের এই ফাউন্ডেশন ।
এজন্য “ফ্রাইডে স্কুল” প্রজেক্ট এর মাধ্যমে পাঠদান, খাবার বিতরণ ও খেলাধুলার মাধ্যমে এসব শিশুদের আগামী দিনের জন্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছি আমরা।
এজন্য প্রয়োজন সকলের একনিষ্ঠ ভাবে এগিয়ে আসা। ” সংগঠনটির অন্য আরেক সদস্য সুচয়না দে বলেন, “জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এই ছোট্ট শিশুদের হাসি মুখের কারণ হতে চাই।
আমরা আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব এই প্রত্যশা করছি, এটাই শুরু আমাদের, শেষ নয়, যাবো বহুদূর।
” ইয়ুথ নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন এর এই কার্যক্রমের ফলে সুবিধাবঞ্চিত পথ শিশুরা অনেক আনন্দ প্রকাশ করেছে। তারা জানায়, “খাবার গুলো পেয়ে আমরা অনেক আনন্দিত।
এছাড়াও তারা ফাউন্ডেশনের স্কুল প্রজেক্টে অংশগ্রহণ করতে চায়, এমনটাই জানায় স্টেশনের ছিন্নমূল শিশুরা।
Leave a Reply