রণিকা বসু(মাধুরী) বিশেষ প্রতিনিধি:
বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার ৭নং সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দরিউমাজুড়ী গ্রামের বাসিন্দা অমুল্য বৈরাগীর বয়স ৮০/৮৫ হবে৷ তার স্ত্রী ও একজন পিতা-মাতা হারা এতিম নাতী নিয়ে খুবই কষ্টের সাথে জীবন যাপন করতেছেন৷নেই একটা ঘর,এই শীতে নেই শীতের পোশাক,নেই লেপ বা কম্বল,নেই আয় করা মানুষ,যেদিকে তাকাই শুধু নেই আর নেই?নিজে শারীরিক অসুস্থ৷ স্ত্রী ও অসুস্থ তবু মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করে চলছে তাদের তিন জনের জীবন৷অমুল্য বৈরাগী বয়সের ভারে নুয়ে পরেছে শরীর তার মধ্যে অসুস্থ৷ স্ত্রী রেখা বৈরাগীর বয়স ৭০-৭২ বছর তিনিও অসুস্থ তবু কিছু করার নেই পেট যে কিছু মানে না৷অসুস্থ শরীর নিয়ে সারাদিন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে যা পান তাই দিয়ে চালাতে হয় স্বামী ও একজন ১০ বছরের নাতীকে৷অমুল্য বৈরাগীর একমাত্র মেয়ে ছিলেন লিপি রানী সরকার তাকে বিয়ে দিয়েছিলেন৷বিয়ের পর এক ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম দিয়ে সংসারে মনমালিংন্য হয়ে বিষ খেয়ে আত্নহত্যা করেন। মেয়ে লিপি রেখে যান দুজন অবুঝ শিশু সন্তান৷লক্ষী ও তুফান নামে দুই ছেলে মেয়েকে৷মেয়ে মারা যাবার পর জামাই তাদের যেটুকু জমি ছিলো বিক্রি করে টাকা নিয়ে পারি জমান ভারতে৷ তারপর থেকে নাতী নাতনীর দায়িত্ব এসে পরে অসহায় অমুল্য বৈরাগীর উপর৷নাতনীকে অনেক কষ্টে বিয়ে দেন৷এখন নিজেও অসুস্থ স্ত্রী রেখা বৈরাগীও অসুস্থ তবু নেই থেমে থাকা৷আগে শাকপাতা বিক্রি করতেন রেখা বৈরাগী এখন অসুস্থতার কারণে তাও পারেন না৷তাই নিরুপায় হয়ে করেন ভিক্ষা৷অমূল্য বৈরাগী বলেন আমি চুরি করতে পারবো না তাই ভিক্ষা করে খাই৷প্রতিবেশির কাছে তার বিষয়ে জানতে চাইলে বাহির দশমহল বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক গৌরাঙ্গ হীরা বলেন আমিও অনেক চেষ্টা করেছি তাকে কিছু সাহায্য করার পারিনি। আমিও চাই এই অসহায় পরিবারটি সাহায্য পান৷বিশেষ করে তার একখানা ঘর নেই বৃষ্টি পরলে তাদের কষ্ট আরও বেড়ে যায়৷তিনি বলেন অসহায় পরিবারটি একটা ঘর পেলে কষ্টটা কিছুটা হলেও কমবে। সংবাদকর্মী রণিকা বসু (মাধুরী) বলেন সমাজের বিত্তবান, জনপ্রতিনিধি ও উর্ধ্বতম কর্মকর্তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ এই অসহায় পরিবারটির প্রতি সদয় দৃষ্টি দিয়ে পরিবারটিকে সাহায্য করার জন্য।
Leave a Reply