হাফিজুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার :
দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের মল্লিকপাড়ার আবুল হোসেন এর মেয়ে শাহানারা বেগমের বাড়িতে যখন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান গেলেন, তখন তিনি দেখেন মাটির ঘর, ছোট্ট একটু উঠান….খাঁচায় দুটি ঘুঘু পাখির গান,খাঁচা ভর্তি হাঁসের বাচ্চার দুষ্টুমি…… রোদেলা সকালে দাঁড়িয়ে যখন শাহানারার পরিবারের সাথে কথা বলেন তখন মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের। মনে হচ্ছিলো এরই নাম কি বেঁচে থাকা???? ২ ভাই, ৫ বোন নিয়ে তাদের সংসার। এর মধ্যে শাহানারা নিজেই আজ বিধবা হয়ে একটি সন্তানসহ তারই পিতার সংসারে আশ্রয় নিয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি শাহানারার পিতা। সে ও শারিরীকভাবে সম্পূর্ণ সুস্হ না। কখনো মাঠে কাজ করে কখনও বা অন্যের অনুগ্রহে কেটে যায় দিন। অথচ তাদের অসহায়ত্বের কথা মুখ ফুটে বলতে পারেনি কোথাও। তারা চিনেনা কোন সরকারী অফিস। যেন কোন অভিযোগ নেই কারো প্রতি। শুধু শূণ্য চোখে তাকিয়ে থাকে ভবিষ্যতের দিকে। আর এক সংগ্রামী নারী সালমা খাতুনের বাড়িতে গেলেন দেখতে পেলেন মাটির ঘর।।। জীবিকার সন্ধানে বাইরে গিয়েছে। কিন্তু পারে নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান এর সাথে দেখা করতে অফিসে এলো। পরবর্তীতে জানতে পারলেন যে সে বাল্য বিবাহের বলি হয়েছিলো কোন এক সময়। নিজের বয়সই ২০/২২ বছর মাত্র। অথচ আজ সে বিধবা। ৭ এবং ৫ বছরের দুটি শিশু সন্তানসহ আজ সে বাবার সংসারে গলগ্রহ। সেলাই শিখেছে অনেকদিন। কিন্তু সেলাই মেশিন কেনার ক্ষমতা নাই। হন্যে হয়ে ঘুরেছে অনেকের দ্বারে। কিন্তু একটি মেশিন যেন অধরাই থেকে গেলো। কি করো???? জানতে চাইলে তার কচি মুখের অসহায়ত্ব আর কান্নারত ঠোঁটের কাঁপুনি যেকোনো বিবেককে দোলায়িত করবে। তাদের দুর্দশার কথা শুনে তাদের অসহায়ত্ব ঘোচাতে এবং জীবন সংগ্রামে এগিয়ে যেতে তাদের আজ ৮ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান নিজ হাতে সেলাই মেশিন উপহার হিসেবে তুলে দেন। এসময় তিনি দোয়া করেন হাজারো শাহানারা ও জোহরা তাদের জীবনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এগিয়ে যাক সাফল্যের দিকে। অসহায় পরিবারের পাশে এগিয়ে আশার জন্য দামুড়হুদা বাসী ও স্থানীয় সচেতন মহল সাধুবাদ জানিয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান এর প্রতি।
Leave a Reply