মাগুরা সংবাদদাতা:
মাগুরা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও বগিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর রওনক কর্তৃক সংখ্যালঘুদের উপর জুলুম ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নানা ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকির মুখে পরিবারটি আজ দেশ ছাড়ার উপক্রম । ঘটনা অনুসন্ধানে দেখা যায় আলুকদিয়া গ্রামের দিলিপ কুমার দাস ও তার পরিবারের বসতবাড়ির ৩৭ শতাংশ পুকুরসহ জমি একই গ্রামের মৃত মোছেন শেখের ছেলে ছালেক, রশিদ ও বশির শেখ দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে জোর দখল করে রেখেছে। জমিতে লাগানো ৫টি বিশাল আকৃতির গাছ জোর করে কেটে ছালেক শেখ ও রশীদ শেখ বিক্রি করে দিয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জের হিসেবে সালেক শেখ ও তার ভাইয়েরা ১৯৯৬ সালে ভাড়া করা বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে অশোক কুমার দাস ও উজ্জল কুমার দাসকে গুলি করে, সে যাত্রায় অবশ্য দুজন বেঁচে যান। উক্ত জমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমার পর ১৯৯৬ সালে নিম্ন আদালত কর্তৃক, ১৯৯৯ সালে জজ কোর্ট কর্তৃক, ২০০৬ সালে হাইকোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত রায় দিলীপ কুমার দাস ও তাদের পরিবারের পক্ষে যায়। আদালতের রায়ের কপি মাগুরা সদর থানায় জমা দেয়ার পরও বগিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর রওনক ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা সহ প্রভাবশালীদের কারসাজিতে এখনো পর্যন্ত পরিবারটি জমির দখল নিতে পারেন নাই। বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে আপোষ মিমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে ডাকা হলেও পক্ষান্তরে দিলীপ কুমার দাস ও তাদের পরিবার বর্গকে জমি লিখে দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়। অন্যদিকে ছালেক শেখের ছেলে মনিরুল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়ির নারী ও পুরুষদের সময়ে অসময়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে। উক্ত জমির অন্য দুইজন ওয়ারিশ বিদ্যুৎ কুমার দাস ও শ্রী প্রসেনজিৎ কুমার দাস জানান এই সম্পত্তি আমাদের পৌতৃক সম্পত্তি জমি থাকতেও বর্তমানে সরকারি খাসজমিতে কোনরকম পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। দিলীপ কুমার দাস আক্ষেপ করে বলেন আজ আলুকদিয়া বাজারের একটি বড় অংশ আমাদের পৌতৃক সম্পত্তি, আলুকদিয়া হাই স্কুল, আলুকদিয়ার হাসপাতাল এবং সাথের দোকানপাট সবই আমাদের জমিতে স্থাপন করা। এগুলো এখনো লিখিয়ে দেয়া হয়নি। তারপরও আমাদের এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। পরিশেষে তারা স্থানীয় প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেছেন।
Leave a Reply