শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পানি উন্নয়নের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মান, সরেজমিনে পানি উন্নয়ন কর্মকর্তা ব্যক্তিগত ব্রান্ডিং উন্নয়নের লক্ষ নিয়ে ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আর্ট অফ লিভিং প্রজেক্ট বাস্তবায় গোপালগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের খুনিদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন হিন্দুদের নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন লোহাগড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন স্থগিত লোহাগড়ায় বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ট্রাকের চাপায় ১ জন নিহত ছয়তলা ভবন থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী র‌্যাব-৮ কর্তৃক গ্রেফতার ক্লাস চলাকালীন বিদ্যালয়ে আগুণ! পুড়ে গেছে দুটি শ্রেণীকক্ষ

মাগুরায় সংখ্যালঘু নির্যাতন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের দাবি

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২৫৯ Time View

 মাগুরা সংবাদদাতা:

মাগুরা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও বগিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর রওনক কর্তৃক সংখ্যালঘুদের উপর জুলুম ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নানা ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকির মুখে পরিবারটি আজ দেশ ছাড়ার উপক্রম । ঘটনা অনুসন্ধানে দেখা যায় আলুকদিয়া গ্রামের দিলিপ কুমার দাস ও তার পরিবারের বসতবাড়ির ৩৭ শতাংশ পুকুরসহ জমি একই গ্রামের মৃত মোছেন শেখের ছেলে ছালেক, রশিদ ও বশির শেখ দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে জোর দখল করে রেখেছে। জমিতে লাগানো ৫টি বিশাল আকৃতির গাছ জোর করে কেটে ছালেক শেখ ও রশীদ শেখ বিক্রি করে দিয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জের হিসেবে সালেক শেখ ও তার ভাইয়েরা ১৯৯৬ সালে ভাড়া করা বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে অশোক কুমার দাস ও উজ্জল কুমার দাসকে গুলি করে, সে যাত্রায় অবশ্য দুজন বেঁচে যান। উক্ত জমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমার পর ১৯৯৬ সালে নিম্ন আদালত কর্তৃক, ১৯৯৯ সালে জজ কোর্ট কর্তৃক, ২০০৬ সালে হাইকোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত রায় দিলীপ কুমার দাস ও তাদের পরিবারের পক্ষে যায়। আদালতের রায়ের কপি মাগুরা সদর থানায় জমা দেয়ার পরও বগিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর রওনক ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা সহ প্রভাবশালীদের কারসাজিতে এখনো পর্যন্ত পরিবারটি জমির দখল নিতে পারেন নাই। বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে আপোষ মিমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে ডাকা হলেও পক্ষান্তরে দিলীপ কুমার দাস ও তাদের পরিবার বর্গকে জমি লিখে দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়। অন্যদিকে ছালেক শেখের ছেলে মনিরুল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়ির নারী ও পুরুষদের সময়ে অসময়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে। উক্ত জমির অন্য দুইজন ওয়ারিশ বিদ্যুৎ কুমার দাস ও শ্রী প্রসেনজিৎ কুমার দাস জানান এই সম্পত্তি আমাদের পৌতৃক সম্পত্তি জমি থাকতেও বর্তমানে সরকারি খাসজমিতে কোনরকম পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। দিলীপ কুমার দাস আক্ষেপ করে বলেন আজ আলুকদিয়া বাজারের একটি বড় অংশ আমাদের পৌতৃক সম্পত্তি, আলুকদিয়া হাই স্কুল, আলুকদিয়ার হাসপাতাল এবং সাথের দোকানপাট সবই আমাদের জমিতে স্থাপন করা। এগুলো এখনো লিখিয়ে দেয়া হয়নি। তারপরও আমাদের এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। পরিশেষে তারা স্থানীয় প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেছেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category