স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফেসবুক খুললেই প্রতিনিয়ত দেখা যায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। এরকম বিজ্ঞাপনের একটি হলো কথিত- সরকারি মিডিয়া তালিকাভুক্ত, জাতীয় দৈনিক মুক্ত আওয়াজ পত্রিকা’র সাংবাদিক নিয়োগের বিজ্ঞাপন। কখনো Mukto awaz নামের আইডি থেকে, আবার কখনো দৈনিক মুক্ত আওয়াজ পত্রিকা নামের আইডি থেকে বা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আইডি থেকে সাংবাদিক নিয়োগের বিজ্ঞাপন বেশি দেখা যায়। প্রশ্ন হলো আসলেই কি সাংবাদিক নিয়োগ চলছে? উওর না! চলছে প্রতারণা। এই প্রতারণার মাষ্টারমাইন্ড কথিত- সরকারি মিডিয়া তালিকাভুক্ত দৈনিক মুক্ত আওয়াজ পত্রিকা’র প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক ফাহিম ফয়সাল। জানা যায়, এরকম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। কেউ প্রতিনিধি হতে চেয়ে কল করলেই মিষ্টি কন্ঠে প্রথমেই ইনকামের পথ দেখায়। শিখিয়ে দেয় কিভাবে ইনকাম করতে হবে। তারপরে বলে প্রতিনিধিদের জন্য রয়েছে দৈনিক মুক্ত আওয়াজ এর সাথে দৈনিক আমাদের বাংলাদেশ পত্রিকারও একটি আইডি কার্ড, ফিতা, স্টিকার, টিশার্ট ইত্যাদি। সব মিলিয়ে এক জোড়া করে পাবেন প্রতিনিধিরা। এর দাম প্রায় ২,৬০০ টাকা। তবে প্রতিনিধিদের দিতে হবে ১,৫০০ টাকা। তার এই মিষ্টি কথায় সারাদেশের শিক্ষিত বেকার যুবকরা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংবাদ কর্মীরাও প্রতারিত হয়েছে। কারও থেকে নিয়েছে ১০০০, কারও থেকে ১৫০০, ১২০০, ১০২০, ২০০০, ৩০০০ করে এমন ব্যাপক টাকা। তবে জুটেনি কারও কপালে উল্লেখিত কোনো কিছুই। কলে দিলে বলতো আপনাকে চিনিনা। বেশি কল দিলে নাম্বারটি করে রাখতো ব্লক। এবিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, বেকার থাকায় ফাহিম ফয়সালের কথায় রাজি হয়ে টাকা দিয়েছি। ভাবছিলাম সাংবাদিকতার মতো একটি মহৎ পেশায় থেকে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো এবং টাকার সমস্যাটাও সমাধান হবে। কেউ বলে করোনাকালীন সময়ে কষ্ট করে টাকা দিয়েছি, যাতে বেকার থাকতে না হয়। তবে তখন বুঝতে পারিনি সে এতবড় প্রতারক। আমরা এর বিচার চাই। প্রশাসনের মাধ্যমে ফাহিম ফয়সালের শাস্তি চাই। জানা যায়, দৈনিক আলোকিত সকালের কলমাকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি হৃদয় আহমেদের ১,০০০ টাকা, দৈনিক তৃতীয়মাত্রার পলাশবাড়ী প্রতিনিধি ও পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- সাংবাদিক নুর মোহাব্বত সরকারের ৬৫০ টাকা, ভোলার- মোঃ শাহিনের ১,৪৫০ টাকা, যশোরের আলী রেজা রাজু’র, ১,০২০ টাকা, নারায়ণগঞ্জের সুমন আহমেদের ১,০২০ টাকা, ঢাকার- সাংবাদিক জুবায়ের হোসেন’র ১,৫৩০ টাকা, সিরাজগঞ্জের শাহীন রেজার ৬০০ টাকা, মোঃ মাইনুদ্দিনের ৬৫০ টাকা, মোঃ ইসমাইল হোসেন সাকিলের ১,০২৫ টাকা, আলমগীর হোসেনের ৭০০ টাকা সহ একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ রয়েছে এই সংবাদ কর্মীর কাছে। এবিষয়ে ফাহিম ফয়সাল’কে কল করে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন এগুলো তিনি জানেন না। তাদের নিয়োগ নাকি বন্ধ। এবং তার পত্রিকাটি অনলাইন এবং ম্যাগাজিন বের করেন, প্রতিমাসে নাকি একবার প্রিন্ট করেন। এবং কার্ড, ফিতা, স্টিকার, টিশার্ট ইত্যাদি সহ সবকিছু ফ্রী দেন। অন্যদিকে ফাহিম ফয়সালের কথিত- সরকারি মিডিয়া তালিকাভুক্ত দৈনিক মুক্ত আওয়াজ পত্রিকায় নিয়োগের বিষয়ের কথপোকথনের কিছু ভয়েস রেকর্ড প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌছাইছে। যাতে টাকা নেওয়ার বিষয়ে এবং নিয়োগের বিষয়ে কথা বলার সময়ে ঐ ব্যাক্তিকে টাকা ইনকাম সহ বিভিন্ন লালসা দেখিয়েছেন।
Leave a Reply