মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। সোমবার (৪ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সারে ৭টার দিকে সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার এলাকার সালাম আকন এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এজাজুর রহমান আকন ও একই এলাকার সাহেব আলি মাতুব্বর, চুন্নু মাতুব্বর ও খবির মাতুব্বরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সোমবার রাতে সাহেব আলি মাতুব্বরের ছেলে নান্নু মাতুব্বর, চুন্নু মাতুব্বরের ছেলে আরমান মাতুব্বর ও খবির মাতুব্বরের ছেলে শামীম মাতুব্বরের নেতৃত্বে অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জন মিলে চেয়ারম্যান এজাজুর রহমান আকন এর ভাতিজা হাফিজুর আকন (২০), পিতাঃ সেলিম আকন,কামরুল আকন (২১) পিতাঃ সালাম আকন, নাজমুল আকন (২৪)সহ পরিবারের সদস্য হাসি বেগম (৫৫) স্বামীঃ সালাম আকন, সাথী আক্তার (২৫) পিতা সালাম আকনকে দেশীয় অস্র সস্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে বেদম মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন আহতের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল ইসলাম মিঞা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজুর রহমান আকন তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের উপর সাহেব আলি মাতুব্বর, চুন্নু মাতুব্বর ও খবির মাতুব্বরের ছেলেরা ও ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের দিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তাদেরকে এলোপাথাড়িভাবে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আহত করে। আমি জেলা পুলিশের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, খবর পেয়ে আমি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় নারীসহ ৫জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে এই ব্যাপারে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।