হাফিজুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে সালিশ করতে এসে জনরোষে পড়েন আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে তার বাবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তার তিন ছেলের মতবিরোধ শুরু হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এর কিছু দিন পর আব্দুল লতিফের ছেলে মোস্তফা তাজওয়ার আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে তার বাবার বিরুদ্ধে একটা লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আইন সহায়তা কেন্দ্রের সহকারী বিভাগীয় প্রধান (ঢাকা জোন) মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ ২৮ ডিসেম্বর আব্দুল লতিফের কাছে একটি সালিশ বৈঠকের জন্য নোটিশ দেন। এ বিষয়ে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলাম মুক্তার জানান, নোটিশ অনুযায়ী বাপ-ছেলের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে সালিশের জন্য শনিবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে ঘটনাস্থলে আসেন আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় প্রধান মো. লোকমান হোসেন, তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. সোহেল রহমান এবং সহকারী বিভাগীয় প্রধান মাসুম বিল্লাহ। হেলিকপ্টার থেকে বেরিয়ে আসলে তারা স্থানীয় লোকজনদের তোপের মুখে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর আইন সহায়তা কেন্দ্রের আরো ২০-২৫ জন সদস্য ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে (মাইক্রোবাস) করে আন্দুলবাড়িয়া বাজারে আসেন। তারাও বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন। ইউপি চেয়ারম্যান জানান, এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন আইন সহায়তা কেন্দ্রের সদস্যদেরকে মারতে উদ্যত হন। এ সময় জীবননগর থানা পুলিশের সদস্যরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে আইন সহায়তা কেন্দ্রের তিন কর্মকর্তা পুলিশের সহায়তা নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে চলে যান। পরে আইন সহায়তা কেন্দ্রের বাকি সদস্যরা মাইক্রোবাসযোগে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। এ বিষয়ে জীবননগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সামান্য একটা বিষয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকা থেকে আইন সহায়তা কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের এখানে আসা ঠিক হয়নি। পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় সেটা হয়নি।
Leave a Reply