হাফিজুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার
আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় পৌরসভা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শেষ হয়েছে।চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৩২ হাজার ৮১৮ জন এবং মহিলা ভোটার ৩৪ হাজার ৯৯০ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৩টি ও ভোট কক্ষের সংখ্যা ১৯৭টি। নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন ২২ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোবাইল ফোন প্রতীকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবুল হক মালিক মজু পেয়েছেন ৭হাজার ৬৫৭ ভোট। আর বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৬ ভোট। ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী (হাতপাখা) প্রতীক নিয়ে তুষার ইমরান পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৯৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ (নারিকেল গাছ) প্রতীকে পেয়েছেন ৩০১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. সৈয়দ ফারুক উদ্দিন আহম্মেদ (জগ)প্রতীকে পেয়েছেন ২৪২ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমেদ মাসরিকী (কম্পিউটার) প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫৩ ভোট। আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পৌর এলাকার ৩৩টি কেন্দ্রে বিরতিহীন ও নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে বলে জানান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেদ। তিনি জানান, বেসরকারিভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। রাতে সরকারিভাবে সকল প্রার্থীর ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচনের মাঠে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করেছেন ১২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশের একাধিক টিমের পাশাপাশি মাঠে কাজ করেছে র্যাব ও আনসার বাহিনী। এছাড়া দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়া নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৩টি পদে মোট ১৩ জন প্রার্থী এবং সাধারণ কাউন্সিলর ৯টি পদে ৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে গেল বুধবার সকালে ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিল্লাল হোসেন বেল্টু মারা যাওয়ায় ওই ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
Leave a Reply